নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আরবি শিক্ষকের ধর্ষণে বগুড়ার নন্দীগ্রামে শিশুকন্যা (১০) তিন মাসের অন্তঃসত্তা হয়েছে। গ্রাম্য সালিশে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার অভিযোগে চারজন গ্রাম্য মোড়লকে আটক করেছে পুলিশ। তিন লাখ টাকার বিনিময়ে কয়েকবার সালিশের মাধ্যমে ঘটনাটি আপোষ-মিমাংসা করার চেষ্টা করেন এই মোড়লরা বলে অভিযোগ রয়েছে। ধর্ষিতার পরিবারকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতিও দেখান তারা। ৯ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে ও ১০ জুলাই শুক্রবার দুপুরে থানা পুলিশ দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে কয়েকজন গ্রাম্য মোড়লকে আটক করলেও অভিযুক্ত লম্পট মক্তব শিক্ষক রুহুল কুদ্দুস (৫৫) এখনো ধরাছোয়ার বাইরে।
আটককৃতরা হলেন দারিয়াপুর শাহপাড়ার আবু সাঈদ (৬০), আফজাল হোসেন (৬৫), বাবু মিয়া (৩৫), শাকিবুল্লাহ (৩০)। ধর্ষিতার পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দারিয়াপুর শাহপাড়ার মৃত অপি শাহ’র ছেলে রুহুল কুদ্দুস (৫৫) নিজ বাড়িতে মক্তব খুলে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের শিশুদের আরবি শিক্ষা দিয়ে আসছিলেন। একই এলাকার নসিমন চালক তার শিশুকন্যাকে (১০) মক্তবে আরবি শেখার জন্য ভর্তি করান। এই লম্পট শিক্ষক আরবি শিক্ষা দেয়ার আড়ালে শিশুকন্যাদের দিকে কু-নজর দেন। ৫-৬ মাস পূর্বে নসিমন চালকের কন্যাকে বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেন ওই শিক্ষক। মেয়েটি ভয়ে বিষয়টি পরিবারকে জানায়নি। এখন শিশুকন্যাটি অন্তঃসত্তা হওয়ার পর ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেছে।
শিশুটির মা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে তাদের শিশুকন্যাটি বমি করছিল। ৬ জুলাই সোমবার নন্দীগ্রামে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে শিশুকন্যা তিন মাসের অন্তঃসত্তা হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। তখন তার মেয়ে তাকে সব খুলে বলে। থানার ওসি মোহাম্মদ শওকত কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভুক্তভেআগি শিশু থানা হেফাজতে রয়েছে। অভিযুক্ত লম্পট শিক্ষক রুহুল কুদ্দুসকে আটকের জোর চেষ্ট চলছে। গ্রাম্য সালিশে বিষয়টি ধামামচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে শুনেছি। গ্রামের চার মাতব্বরকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৯ এর ১ ধারায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।