নিজেস্ব প্রতিবেদক : ভর্তির হার বৃদ্ধির লক্ষ্যে ও বিদেশ ফেরত দক্ষকর্মীদের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়ার জন্য দেশের কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ডিপ্লোমা কোর্সে সব বয়সীদের ভর্তির সুযোগ দিতে যাচ্ছে সরকার। একইসঙ্গে এসব ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা কমানোর পাশাপাশি ভর্তি ফি’ও কমানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
এতদিন এসএসসি পাস করার দুই বছর পর পর্যন্ত পলিটেকনিকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া যেত। সে নিয়ম অনুযায়ী, ২০২০ সালে যারা এসএসসি পাস করেছেন তাদের সঙ্গে ২০১৯ ও ২০১৮ সালে এসএসসি উত্তীর্ণরা কারিগরিতে ভর্তি হতে আবেদন করতে পারতেন। এখন যে কোনো বয়সের এসএসসি সনদধারীরা কারিগরিতে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন।
বুধবার (০১ জুলাই) কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল সভায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এ সিদ্ধান্ত দেন। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষামন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, বর্তমান সরকার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রূপকল্প ৪১ বাস্তবায়নে কারিগরি শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবং বিদেশ ফেরত দক্ষকর্মীদের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়ার জন্য পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো রকমের বয়সের সীমাবদ্ধতা রাখা হবে না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনেককে হয়ত প্রয়োজনীয় কারিগরি দক্ষতা আছে কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট নেই। সার্টিফিকেট না থাকায় ভালো চাকরি পাচ্ছে না অথবা চাকরি পেলেও ভালো বেতন পাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে সে ব্যক্তি যদি চায় এবং যদি তার প্রয়োজনীয় একাডেমিক যোগ্যতা থাকে তাহলে সে ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হতে পারবে।
কারিগরির ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তিতে ছেলেদের ন্যূনতম যোগ্যতা জিপিএ ৩.৫ থেকে কমিয়ে ২.৫ এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে জিপিএ ৩ থেকে কমিয়ে ২.২৫ করার সিদ্ধান্ত দেন শিক্ষামন্ত্রী। পাশাপাশি ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি ফি এক হাজার ৮২৫ টাকা থেকে কমিয়ে এক হাজার ৯০ টাকা করারও সিদ্ধান্ত দেন।
এছাড়া চলতি মাসের মধ্যে কারিগরি মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষকদের এমপিও’র অর্থ ছাড় করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুনশী শাহাবুদ্দীনের সভাপতিত্বে এ সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক সফিউদ্দিন আহমেদ, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সানোয়ার হোসেন, মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদ, কারিগরি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মুরাদ হোসেন মোল্লা যুক্ত ছিলেন।