বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বা টিকা আবিষ্কারের জন্য রীতিমতো প্রতিযোগিতা চললেও কেউই এখনো কার্যকর সাফল্য পায়নি। তবে সাত-আটটি ভ্যাকসিন ট্রায়ালে উতরে যাবে বলে তারা আশা করছেন। এর মধ্যে বড় আশা জাগাচ্ছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞদের উদ্ভাবিত টিকা।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল এক বিবৃতিতে এ টিকা নিয়ে কথা বলেছেন অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপের প্রধান অধ্যাপক অ্যান্ড্রু পোলার্ড। তিনি জানান, ‘ক্লিনিক্যাল স্টাডিজ খুব ভালো চলছে। আমরা এখন ভ্যাকসিনটি কত বয়সির মধ্যে রোগ প্রতিরোধের প্রক্রিয়া চালিত করতে পারে তা মূল্যায়ন করে দেখছি। এছাড়া এটি ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম কি না, তা-ও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, ২০২০ সালের শেষ নাগাদ ভ্যাকসিনটির উন্নয়নকাজ বা বাজারজাতের প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। আস্ট্রাজেনেকার এই টিকার ৪০ কোটি ডোজ প্রি-অর্ডার করতে ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে প্রাথমিক চুক্তিতে উপনীত হয়েছে ইউরোপের চার দেশ। দেশগুলো হচ্ছে জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি ও নেদারল্যান্ডস।
আস্ট্রাজেনেকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পাসকাল সরিওট জানিয়েছেন, তাদের এই টিকা প্রায় এক বছরের জন্য এই ভাইরাস থেকে মানুষকে সুরক্ষা দেবে। আগামী আগস্ট বা সেপ্টেম্বর নাগাদ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফল পাওয়া যাবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবর নাগাদ এই টিকা সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
যুক্তরাজ্যে নতুন ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু: করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যুক্তরাজ্যে নতুন একটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ (হিউম্যান ট্রায়াল) শুরু হয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনটি গতকাল বৃহস্পতিবার স্বেচ্ছাসেবীদের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে।