বর্ষায় ঘরের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। কেননা, এ সময় বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়ে যায়। তাই বাড়িঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে উদ্যোগ নিন। এতে আপনার বাড়ি হবে পোকামাকড়মুক্ত এবং আপনি থাকবেন রোগবালাইমুক্ত।
তেলাপোকা ও পিঁপড়া : তেলাপোকা ও পিঁপড়ার উপদ্রব এ সময় বেড়ে যায়। তাই সব সময় ঘর পরিষ্কার রাখুন। কোথাও খাবার পড়ে থাকলে বেসিনের সিংকে যাতে খাবার জমে না থাকে, খেয়াল রাখুন। প্রতিদিনের ময়লা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে আসুন। রান্নাঘর স্যাভলন ও ভিনেগার দিয়ে মুছে নিন। পিঁপড়ার উপদ্রব কমাতে জানালায় ও দরজায় বরিক পাউডার ঢেলে রাখুন।
পোকামাকড় : বর্ষার সময় রান্নাঘরের সিংক ও বাথরুমের বেসিন বা কমোড দিয়ে বিভিন্ন পোকামাকড় উঠে আসে। এর থেকে রক্ষা পেতে গরম পানিতে স্যাভলন মিশিয়ে কয়েক দিন পরপর কমোড, বেসিন ও রান্নাঘরের সিংকে ঢালুন।
বিশেষ করে যেদিন বৃষ্টি পড়বে সেদিন। তবে ঢালার সময় এমনভাবে ঢালুন যাতে সরাসরি পাইপে পড়ে। না হলে কমোড কিংবা বেসিনে চিড় ধরতে পারে।
মশা-মাছি : মশা-মাছির তাড়ানোর জন্য কয়েক টুকরো কর্পূর আধকাপ পানিতে মিশিয়ে ঘরের এক কোণে রেখে দিন। রান্নাঘরে ঢাকনা দেওয়া ডাস্টবিন ব্যবহার করুন। এ ছাড়া শুকনা চা-পাতা পোড়ানো ধোঁয়া ছড়িয়ে দিন পুরো বাড়িতে। এতে মশা-মাছির উপদ্রব কমে যাবে।
অন্যান্য : এ ছাড়া অন্যান্য পোকামাকড় থেকে রক্ষা পেতে রান্নাঘরের কেবিনেট, বুক সেলফ, আলমারিসহ ঘরের বিভিন্ন জায়গায় নিমপাতা ও কালিজিরা কাপড়ে মুড়ে বেঁধে রাখুন। এছাড়া এক কাপ নারিকেল তেলের সঙ্গে কর্পূরের গুঁড়ো মিশিয়ে ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ছিটিয়ে দিন।
ঘরের কোনায় কীটনাশক স্প্রে করতে পারেন। পোকামাকড়ের আনাগোনা কমাতে বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এর বদলে প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করুন।