স্পষ্টবক্তা ও বামপন্থী হিসাবে পরিচিত উলফ প্যালমে তখন দ্বিতীয় মেয়াদে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী। তিনি যতটা সম্ভব সাধারণ মানুষের মত থাকতে পছন্দ করতেন। প্রায়ই তিনি বাইরে বের হওয়ার সময় পুলিশি নিরাপত্তা নিতে অপছন্দ করতেন। সে রাতেও তিনি কোন পুলিশ বা রক্ষী নেননি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বাসায় ফিরে নিরাপত্তা রক্ষীদের বিদায় দেন তিনি। ঘটনার তারিখ ১৯৮৬সালের ২৮ফেব্রুয়ারি স্বস্ত্রীক সিনেমা দেখে বাড়ি ফেরার পথে রাতেরবেলা আততায়ীর গুলিতে নিহত হন ।তার সাথে কোন নিরাপত্তারক্ষী ছিল না।পরবর্তীকালে উক্ত খুনের ঘটনায় হাজার হাজার মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিলো এবং তাদের মধ্যে ১৩০ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় যে তারা তার খুনে যুক্ত কিন্তু আসলে তাদের কেউই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল না। পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে বিচারে একজন দাগী আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় যাকে প্রধানমন্ত্রীর বেঁচে যাওয়া স্ত্রী পরে সনাক্ত করেছিলেন বলে আদালতে সাক্ষ্য দেন।কিন্তু কিছুদিন পরেই জানা যায় সে আসলে নির্দোষ অতঃপর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে ঘটনার পূনরায় তদন্ত শুরু হলে ও পুলিশ হাল ছেড়ে দিলে একজন সাংবাদিক তদন্ত করে বের করেন যে খুনি হচ্ছে মি. এংগস্ট্রম স্ক্যানডিয়া যিনি নিজের ডায়েরীতে খুন করার ঘটনা লিখে রেখেছিলেন এবং তিনি ইতোমধ্যে মৃত্যবরণ করেছেন। এই আসামী ও তার স্ত্রীকে ও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ ও করেছিলো কিন্তু তখন বিচারের মুখোমুখি করতে পারেনি প্রমানের অভাবে।সর্বশেষ আসল খুনী মৃত্যবরণ করায় সুইডিশ পুলিশ মামলাটির তদন্ত বন্ধ করে দেয়। উপরের ঘটনাটি বাংলাদেশে ঘটলে আমরা কি করতাম? খুনের দায়ে অভিযুক্ত ১৩০ জন আসামীর ক্রসফায়ার চাইতাম নাকি সত্যিকারের ন্যায়বিচার চাইতাম?? মন্তব্য করুন। তথ্যসূত্র – বিবিসি বাংলা ও ইন্টারনেট।