গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে চুরির ‘মিথ্যা’ অভিযোগ করতে থানায় গিয়ে উল্টো বকেয়া বেতন বাবদ পৌনে দুই লাখ টাকা দিতে হয়েছে ঢাকার এক কে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আব্দুল্লাহিল কাফী জানান, সৈয়দা ফেরদৌস আহমেদ নামের ওই নারী ধানমণ্ডির ৯/এ সড়কের এক বাসায় থাকেন। তার বাসার গৃহকর্মী সুরমা বেগম মালিহার (২১) বিরুদ্ধে টাকা ও গহনা চুরির অভিযোগ নিয়ে তিনি গত ২০ মে গিয়েছিলেন ধানমণ্ডি থানায়। কিন্তু পরে দেখা যায়, চুরির অভিযোগ মিথ্যা, বরং মালিহাকে বিনা বেতনে তিনি কাজ করিয়েছেন সাত বছর।
সৈয়দা ফেরদৌস থানায় গিয়ে অভিযোগ করার পর মালিহা পুলিশকে বলেন, ওই বাসা থেকে কিছু চুরি করেননি তিনি। গৃহকর্ত্রীর অত্যাচারের কারণে বাসা ছেড়ে পালিয়ে যান। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই বাসার সিসি ক্যামেরার ভিডিও পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়, মালিহা বেরিয়ে গিয়েছিলেন এক কাপড়ে, তার সঙ্গে কিছু ছিল না। ভবনের দারোয়ানের সঙ্গে কথা বলে তিনি বের হন।
অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাফী বলেন, এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে সৈয়দা ফেরদৌস এক পর্যায়ে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, মালিহা কোনো টাকা পয়সা নেয়নি। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় সৈয়দা ফেরদৌস আহমেদ ওই কয় বছরের বেতন বাবদ এক লাখ ৮২ হাজার টাকা দিতে রাজি হন। পরে ২৩ মে ৯২ হাজার টাকার চেক এবং ৭ জুন ৯০ হাজার টাকার চেক মালিহাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।