এপিএস নিউজ ডেস্ক
ভার্চুয়াল আদালতে মামলা পরিচালনা না করতে ১৭ আইনজীবীকে দেওয়া গাইবান্ধা জেলা আইনজীবী সমিতির নোটিস স্থগিত করেছে হাই কোর্ট।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বিষয়টি নজরে আনার পর বিচারপতি জে বি এম হাসানের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রোববার এ আদেশ দেয়।
ফলে ওই ১৭ আইনজীবী পেশা পরিচালনা করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
সেই সঙ্গে কোনো আইনজীবী ভার্চুয়াল আদালতে মামলা পরিচালনা করতে গেলে তাদের বাধা না দিতেও গাইবান্ধা জেলা বারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “ভার্চুয়াল কোর্টে মামলা পরিচালনা করায় গাইবন্ধা বার ১৭ আইনজীবীকে নোটিস দিয়ে বলেছিল তারা পেশা পরিচালনা করতে পারবেন না। কিন্তু সরকার এই করোনা পরিস্থিতির কারণে আইন করে ভার্চুয়াল কোর্টের ব্যবস্থা করেছে, যাতে এই সময়েও বিচারকাজ চালু থাকে।
“এই ১৭ জন ভার্চুয়াল কোর্টে মামলা পরিচালনা করেছিলেন। যে কারণে গাইবান্ধা আইনজীবী সমিতি অনৈতিক নোটিস দিয়ে তাদের পেশা বন্ধ করে দিয়েছিল। যেখানে সরকার ভার্চুয়াল কোর্ট চালু করেছে, সেখানে মামলা পরিচালনার জন্য তাদের পেশা স্থগিত করে দেওয়া আইনবিরোধী।”
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “আদালত আমাকে শুনে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে রুল জারি করা না পর্যন্ত ১৭ আইনজীবীর বিষয়ে গাইবান্ধা আইনজীবী সমিতির সিদ্ধান্ত ও নোটিসের কার্যকারিতা স্থাগিত করেছেন।”
গত ১৭ মে গাইবান্ধা জেলা আইনজীবী সমিতি এক সভায় আপাতত ভার্চুয়াল কোর্টের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়।
কিন্তু কিছু আইনজীবী ভার্চুয়াল কোর্টে মামলা পরিচালনা করেন। এরপর জেলা আইনজীবী সমিতি ১৭ জনকে নোটিস দেয়।
১৭ আইনজীবী হলেন পিযুষ কান্তি পাল, এস এম মাজহারুল ইসলাম সোহেল, মো. শাহনেওয়াজ খান, মো. নওশাদুজ্জামান, মো. সরওয়ার হোসেন বাবুল, মো. মঞ্জুর মোর্শেদ বাবু, মো. রেজওয়ানুল হক মন্ডল, মো. আশরাফ আলী, বেগম বদরুন্নাহার, নিরঞ্জন কুমার ঘোষ, মো. আব্দুস সালাম, জি এম মুরাদ হাসান, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. মুরাদজ্জামান রব্বানী, মো. আব্দুর রশীদ, খন্দকার মঞ্জুরুল করিম সোহেল ও মো. জাহাঙ্গীর আলম সরকার জিন্নাহ।
গত ২ জুন দেওয়া ওই নোটিসে বলা হয়, “গাইবান্ধা জেলা বারের গত ১২ মে তারিখের অন্তর্বর্তীকালীন সিদ্ধান্ত এবং তদপ্রেক্ষিতে ১৭ মে তারিখের জরুরি সাধারণ সভায় গৃহিত সিদ্ধান্তসমূহ অমান্য, জেলা বারের শৃঙ্খলা ভঙ্গ, জেলা বার সম্পর্কে কটূক্তি, অবজ্ঞা প্রদর্শন ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদানের জন্য বারের সদস্যপদ হতে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না মর্মে নোটিস দেওয়া হল।”
পরে গত ৪ জুন বার কউন্সিলের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের নজরে আনতে লিখিতভাবে আবেদন করেন কয়েকজন আইনজীবী। রোববার বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন অ্যাটর্নি জেনারেল। সূত্রঃ বিডি নিউজ২৪