করোনা সংক্রমণ রোধে দেওয়া ‘কঠোর’ বিধিনিষেধের মধ্যেই দিনাজপুর জেলার হিলি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে ভারতে ঢুকছে পদ্মার ইলিশ।
ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস’র বাংলা সংস্করণের (অনলাইন) এক প্রতিবেদনে এমনটা জানানো হয়েছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে বরা হয়, পশ্চিমবঙ্গের বাজারে ইলিশের আকালের জেরে পাচারকারীদের কাছে পাচারের অন্যতম উপাদান হয়ে উঠেছে পদ্মার ইলিশ।
হিলি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে পদ্মার ইলিশ ঢুকছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরে।
হাত বদলে সেই ইলিশের দাম দাঁড়াচ্ছে ১,৮০০-২,০০০ রুপি।
তবে চোরাপথে আসা ইলিশ খোলাবাজারে সাধারণত বিক্রির ঝুঁকি নিতে চান না ব্যবসায়ীরা। মূলত পাচারকারীদের সঙ্গে বিশেষভাবে যোগাযোগের মাধ্যমে মিলে এই বাংলাদেশি ইলিশ।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে আসা ইলিশ গোপনে মজুত করে দালালরা। এরপর মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে সেই ইলিশ হাতবদল হয়। এমনকি বেশি টাকার বিনিময়ে এই ইলিশের হোম ডেলিভারিও হয়ে থাকে। তবে সবটাই হয় গোপনে।
সূত্র জানায়, মূলত কাঁটাতারবিহীন এলাকা দিয়েই প্যাকেটভর্তি ইলিশ আসে বাংলাদেশ থেকে। সেই ইলিশই মজুত করে দালালরা।
এক দেড় কেজি ইলিশের দাম পড়ে প্রায় ১,৫০০ থেকে ২,০০০ রুপি। প্রতিবেদনে বলা হয়, পাচার রুখতে যথেষ্ট তৎপর সীমান্তরক্ষী বাহিনী। তবুও চোরাপথে, ঘুরপথে চলে পাচার হয়ে আসে বাংলাদেশি ইলিশ।