বেশ কয়েকবছর কোরবানির পশুর চামড়ার দাম পড়ে যাওয়া নিয়ে বাজারে যে অস্থিরতা, অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছিল, এবার তার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গত দুই বছরের মতো এবারও যাতে চামড়ার দাম পড়ে গিয়ে ব্যবসায়ীরা লোকসানের শিকার না হন সেদিকে রেখেছিল সরকার। কাঁচা চামড়ার বাজারের ধস ঠেকাতে বাণিজ্যমন্ত্রণালয় গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুটে ৫ টাকা করে বাড়ায় এবার। এতে বাজারে কাঁচা চামড়ার দাম কিছুটা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, এবার কাঁচা চামড়ার দাম প্রতিটিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে।
বুধবার রাজধানীর পোস্তাসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
এ বছর ঢাকার জন্য লবণযুক্ত কাঁচা চামড়ার দাম গরুর প্রতি বর্গফুট ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৩ থেকে ৩৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়া ১৫ থেকে ১৭ টাকা, বকরির চামড়া ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে পোস্তার মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা প্রতিটি গরুর চামড়া গড়ে ৭০০ টাকা করে কিনছেন। চামড়ায় লবণ দেয়া, শ্রমিকের মজুরি ও ভ্যান ভাড়াসহ প্রতি চামড়ায়৩০০ টাকা খরচ আছে। সেই হিসাবে তারা লবণযুক্ত চামড়া ১০০০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে চান।
গত দুই বছর কাঁচা চামড়ায় বিপর্যয় নেমেছিল। কোনো কোনো জায়গায় গরুর চামড়ার দাম দেড় শ টাকায় নেমে এসেছিল। দাম না পেয়ে অনেকে কাঁচা চামড়া পুঁতে ফেলেছিলেন বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। তবে, এবার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার ২৫–৩০ বর্গফুটের কাঁচা চামড়া গড়ে ৭০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তবে এর নিচের ১৪–২০ বর্গফুটের কাঁচা চামড়া গড়ে ৪০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
মৌসুমি ব্যবসায়ী আবুল বাশার জানান, তিনি তখন পর্যন্ত ৩০০টি কাঁচা চামড়া কিনেছেন। প্রতিটি চামড়া ৭০০ টাকা করে কিনেছেন। এগুলো ২৫–৩০ বর্গফুটের কাঁচা চামড়া। তিনি আরও বলেন, গতবারের চেয়ে এবার কাঁচা চামড়ার দাম প্রতিটিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে।
তবে, এবার চাড়মার দাম না পাওয়ার শঙ্কায় অনেকেই তা বিক্রি না করে দান করে দিচ্ছেন। রাজধানীর আজিমপুরে মৌসুমি ব্যবসায়ী জামাল আহমেদ বলেন, বিকাল চারটা পর্যন্ত মাত্র ২০টি গরুর চামড়া কিনেছেন। প্রতিটি গড়ে পড়েছে ৭০০ টাকা। এই ব্যবসায়ীর ভাষ্য, গতবার এই সময়ে তিনি ৪০০ চামড়া কিনেছিলেন। এবার মার্কেটে চামড়া আসছে কম।