আবুল কাশেম রুমন,সিলেট : পবিত্র ঈদুল আযহার আর মাত্র ৫ দিন বাকি। কিন্তু সিলেট জুড়ে অনলাইনে ব্যাপক জম জমাট পশু বেচা কেনা হচ্ছে। হাট বাজারে প্রকাশ্যে পশু ক্রয় না করে ক্রেতারা অনেকেই অনলাইনের ক্রয় করতে দেখা যায়। আর বিক্রেতা পৌছে দিচ্ছেন ক্রেতাদের বাড়ি বাড়ি। এখন পর্যন্ত সিলেট জেলায় অনলাইন পশুর হাটের মাধ্যমে ১ হাজার ২৩৮টি পশু বিক্রি হয়েছে এবং লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা। তবে ১৬ জুলাই (শুক্রবার) থেকে সিলেট জেলা শহর ও আশ পাশের গ্রাম গঞ্জে প্রকাশে গরু হাঠ বসেছে সে দিকে ঈদ ঘনিয়ে আসতেই ক্রেতারা বাজার গুলোতে ছুঁঠতে দেখা যায়। অনেকে আবার অনলাইনে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুক ও ইউটিউবে পশুর ভিটিও ধারণ করে ক্রেতা আকৃষ্ট করতে দেখা যায়। ছোট বড় সকল ব্যবসাইদের এখন টার্গেট হচ্ছে অনলাইনে পশু বিক্রি করা। ফলে ক্রেতাদের তাদের সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুক পেইজ ও ইউটিউবে একাউন্ট নেট দুনিয়ায় ভাইরাল করতে বোস্ট করতে দেখা যায়।
এদিকে, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে সিলেট বিভাগে প্রায় ২শ’ পশুর হাটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ৫২টি, মৌলভীবাজারে ৩০টি, হবিগঞ্জে ৫৪টি ও সুনামগঞ্জে ৩৮টি। সিলেট নগরীতে ৩টি পশুর হাট বসবে। সেগুলো হচ্ছে সিলেট নগরীর মাছিমপুর কয়েদির মাঠ, শাহী ঈদগাহ কালাপাথর মাঠ এবং দক্ষিণ সুরমার ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন মাঠ।
সিলেট বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, সিলেটে চাহিদার তুলনায় কোরবানির পশু বেশি রয়েছে। খামারী ও ব্যক্তি পর্যায়ে মিলে সিলেটে মোট কোরবানীযোগ্য পশু রয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ ৭৪ হাজার। এর মধ্যে সিলেটে ১ লক্ষ ৯২ হাজার ২৫৮, সুনামগঞ্জে ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ১০৫, হবিগঞ্জে ৯৯ হাজার ২৪৪ এবং মৌলভীবাজারে ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৩৯৩টি। এছাড়া কোরবানির সময় বাইরের জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা হাটে গরু নিয়ে আসেন। এদিকে, সিলেট বিভাগে কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ৪ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৪ লক্ষ ৫৫ হাজার। এর মধ্যে সিলেটে চাহিদা ১ লক্ষ ৭২ হাজার, সুনামগঞ্জ ৬৮ হাজার ৫০০, হবিগঞ্জ ১ লক্ষ ২ হাজার এবং মৌলভীবাজার ১ লক্ষ ৮ হাজার বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ অফিস।