আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: সিলেট জুড়ে সোনাী ধানের মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে হাওর জুড়ে। কৃষকের ঘরে আনন্দের উল্লাস । এ বছর সিলেটে ৫৮ হাজার ৮২ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে। গত বছর এর পরিমাণ ছিল ৬৯ হাজার ৮৮৬ মেট্রিক টন। এ বছর প্রতি কেজিতে ১ টাকা বৃদ্ধি করে ২৭ টাকা দরে ধান সংগ্রহ করা হবে।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সিলেট বিভাগে বোরো ধান সংগ্রহ কার্যক্রম ২০২১ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
জানা যায়, ২৮ এপ্রিল থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত ধান সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে। প্রতি মণ ধানের দাম ১ হাজার ৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ্যাপসের মাধ্যমেও কৃষকরা সরকারি খাদ্য গুদামে নিজেদের কষ্টার্জিত ধান বিক্রি করতে পারবেন।
খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর সিলেট বিভাগ থেকে ৬৯ হাজার ৮৮৬ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত এক মাস বৃদ্ধি করেও টার্গেটের অর্ধেকও পূরণ করা যায়নি। গেল বছর টার্গেটের বিপরীতে সংগ্রহ করা হয় ৩০ হাজার ৩৫৯ মেট্রিক টন ইরি বোরো ধান। গেলবারের তুলনায় এবার সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায় সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা কমেছে ১১ হাজার ৮০৪ মেট্রিক টন। গেলবারের চেয়ে এবার সুনামগঞ্জ জেলায় ৩ হাজার ৫ মেট্রিক টন, হবিগঞ্জ জেলায় ৯ হাজার ৮৮৩ মেট্রিক টন ও মৌলভীবাজার জেলায় ২ হাজার ১০২ মেট্রিক টন ধান কম সংগ্রহ করা হবে। তবে, সিলেট জেলায় গত বছরের চেয়ে এবার ৩ হাজার ১৮৬ মেট্রিক টন ধান বেশি সংগ্রহ করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, চলতি ইরি- বোরো মৌসুমে সিলেট জেলার ১৩ উপজেলা থেকে ১০ হাজার ৫১৫ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে। গত বছর এর পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৩২৯ মেট্রিক টন। এবার সিলেট সদর উপজেলা থেকে ৭৩৬ টন, দক্ষিণ সুরমা থেকে ৭৫৫ টন, বিশ্বনাথ থেকে ৯৫৪ টন, বালাগঞ্জ থেকে ১ হাজার ৩১ টন, ওসমানীনগর থেকে ৮৪৫ টন, ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে ৪৯৮ টন, গোলাপগঞ্জ থেকে ৯৩১ টন, বিয়ানীবাজার থেকে ৭৬০ টন, কানাইঘাট থেকে ৭৭৯ টন, জকিগঞ্জ থেকে ৮৪৭ টন, জৈন্তাপুর থেকে ৬১৫ টন, গোয়াইনঘাট থেকে ১ হাজার ৪৩ টন ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা থেকে ৭২১ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করবে খাদ্য অধিদপ্তর। তাছাড়া হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার,সনুমগঞ্জ থেকে ধাণ সংগ্রহ করবে খাদ্য অধিদপ্তর।