নিজস্ব প্রতিবেদক: কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কুন্ডুপাড়া এলাকায় ফারজানা ইয়াসমিন (৩০) নামে এক গৃহবধূকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী ও স্বামীর পরিবারের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী ফারজানা জানান, আমার স্বামী এস এম আতি বিন বাপ্পি ও তার পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন যাবৎ যৌতুকের জন্য আমাকে চাপ দিয়ে আসছিলো। আমি আমার বাবার বাসা থেকে যৌতুক না এনে দেওয়ায় মাঝে মাঝেই আমাকে আমার স্বামী এবং তার পরিবারের সদস্যরা অত্যাচার নির্যাতন করে।
আমি এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বেশ কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি। গত বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) রাত দশটার সময় আমার স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা একত্রিত হয়ে এক লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। আর এতে আমি অপারগতা প্রকাশ করলে সেলিম রেজা, সেলিম রেজার স্ত্রী মিনা খাতুন, উবায়েদ হাসান পাপ্পুর স্ত্রী কেয়া খাতুন, সেলিম রেজার ছেলে ওবায়েদ হাসান পাপ্পু ও আমার স্বামী লোহার রড লাঠি ও কাঠের বাটাম দিয়ে আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে আমাকে ফেলে চলে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ফারজানা ইয়াসমিন এবং এস এম আতি বিন বাপ্পির সংসারে ছয় বছরের একটি ছেলে ও রয়েছে। এছাড়াও প্রায় দিনই এস এম আতি বিন বাপ্পি এবং তার পরিবারের সদস্যরা ফারজানা ইয়াসমিন নামের ওই নারীকে মারপিট করে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে। তবে গুঞ্জন আছে এস এম আতি বিন বাপ্পির কোনো নারীর সাথে সম্পর্ক থাকার কারনেই মূলত যৌতুকের জন্য চাপাচাপি করে আসছে যাতে বাপ্পির স্ত্রী ফারজানা স্বেচ্ছায় বাবার বাড়ি চলে যায় বা তালাক দিয়ে দেয়। পরবর্তীতে সেই নারীকে সহজেই ঝামেলাহীনভাবে বিয়ে করে ঘরে পারে তুলতে পারে।
বর্তমানে ফারজানা ইয়াসমিন স্বামীর নির্যাতনে গুরুতর আহত অবস্থায় কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান জানান, ফারজানা ইয়াসমিন নামের এক জন ইতিমধ্যেই একটি অভিযোগ জমা দিয়েছে উক্ত বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।