এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন আজও পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন হয় নাই। বাঙালি এমন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র চেয়েছিল যা হবে কল্যাণ রাষ্ট্র। স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীতেও বাঙালির সেই কল্যাণ রাষ্ট্র আজও বাস্তবায়ন হয় নাই। রাজনৈতিক দলগুলোর বিভক্তি ও প্রতিহিংসার কারনে জনগন তাদের কাঙ্খিত বাংলাদেশ পায় নাই।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) দলীয় কার্যালয়ে স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীতে প্রশ্ন জাগে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের অর্জিত বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নগুলো কেন এখনও বাস্তবায়ন হয় নাই। কেন এখনও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। কেন জনগনকে ভোটাধিকারের জন্য আন্দোলন করতে হয় ? কেন দুর্নীতিবাজরা রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রনের দু:শাহস দেখায় ? সাম্য ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে গড়ার কাজটি কে সম্পন্ন হয়নি ?
এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিজু, এনডিপি ভাইস চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, শাহজাদি আয়শা সিদ্দিকা, কেন্দ্রীয় নেতা আশরাফুজ্জামান খোকন, আশিকুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আর কে রিপন প্রমুখ।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীতে জাতি হিসাবে আমাদের অনেক অর্জন যেমন অনুপ্রানিত করে, ঠিক তেমনই দুর্নীতির মত মহাব্যাধি আমাদের লজ্জিত করে। স্বাধীনতার পর থেকেই দুর্নীতির কালো থাবা কখনোই পিছু ছাড়েনি বাংলাদেশের। সব সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠা ‘দুর্নীতি’।
তিনি বলেন, ৫০ বছরে সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে বহুগুণ। তারপরেও দুর্নীতি কমেনি। মূলত, সরকারের সঙ্গে সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের স্বার্থের সংযোগ, রাজনৈতিক নিয়োগ ও পদোন্নতি, স্বজনতোষী পুঁজিবাদের বিস্তার, সরকারঘনিষ্ঠদের কাজ পাওয়া- এভাবেই দেশে দুর্নীতি বিস্তারের একটি চক্র তৈরি হয়েছে। মনে রাখতে হবে যেসব দেশ দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে, মূলত তারাই গণতন্ত্র নিয়ে সংকটে পড়েছে।
লেবার পার্টি চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী বলেন, রাজনৈতিক বিভাজন যদি না থাকত তাহলে বাংলাদেশ আরো অনেক দূর এগিয়ে যেত। যেমন গণতন্ত্রকে আমরা এখনো সুসংহত করতে পারেনি। অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তুলতে পারেনি।
স্বাগত বক্তব্যে এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি আস্থার সঙ্কট ও অবিশ্বাসের দেয়াল তৈরি হয়েছে। যার ফলে অর্ধশতাব্দিতেও গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি। এই সঙ্কটের নিরসন না হলে ভবিষ্যতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুসংহত করা সম্ভব নয়।