আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: সিলেটের আলোচিত সাবেক কাস্টমস কমিশনার শাফিকুল ইসলাম ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে সম্পদের পাহাড় এনে অভিযোগ তদন্ত ও মামলার দায়ের নেয় দূনীতি দমন কশিমন (দুদক)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৮ জুন দুদকের দায়েরকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা স্থাবর সম্পদের ঘোষণা দেন শফিক। অভিযোগক্ত শফিক নিজ নামে ও ছেলে মেয়েসহ ৫২ লাখ ৯৬ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক। এর প্রেক্ষিতে তিনি ১৫ লাখ ৫১ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদের গোপন করে রাখেন। তিনি দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৯৫ লাখ ১৩ হাজার ৪৫৭ হাজার অস্থাবর সম্পদের ঘোষণা দেন। কিন্তু তার ছেলে- মেয়ের নামে ১ কোটি ৫১ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭১ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য দেন। তিনি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ২১৫ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেন। তিনি ৭১ লাখ ৬৪ হাজার ২১৫ টাকার অর্জিত সম্পদ গোপন করেন। নিজের উপার্জিত টাকা নিজ নামে ও সন্তানদের নামে ৫২ লাখ ৯৬ হাজার ৩৩৩ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ১ কোটি ৫১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৬২ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ ২ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৬৭২ টাকার সম্পদ অর্জন করেন।
জানা গেছে ২০১৬ সালের ৯ আগষ্ট সিলেটের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার পদে তিনি যোগদান করেন। যোগদানের পর তিনি দুনীর্তিতে জড়িয়ে পড়েন। এমন অভিযোগের পর দুদকের তদন্ত চলাকালেই ২০১৮ সালের ১৭ অক্টোবর তাকে সিলেট থেকে একই পদে ঢাকায় বদলি করা হয়। দুদকের ৫ কোটি ২১ লাখ ৬৭ হাজার ৩৩৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সিলেটের সাবেক কাস্টমস কমিশনার শফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জটি দিয়েছে ২৩ মার্চ (মঙ্গলবার) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই দিন সিলেট মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। দূর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২)ও ২৭ (১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (২)ও ৪(৩) ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।