নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে স্ত্রী লাকি আক্তারের (২৭) মরদেহ চালের ড্রামে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন ঘাতক স্বামী মো. সাহিদ আহমদ।
শুক্রবার (৫ মার্চ) সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমানের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি। পরে সন্ধ্যায় মো. সাহিদ আহমদকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ঘাতক মো. সাহিদ আহমদ মোগলাবাজার থানার কুচাই ইউনিয়নের শ্রীরামপুর দক্ষিণ পাড়ার নূর মিয়ার ছেলে ।
সিলেট মহানগর পুলিশের মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা বলেন, ‘বুধবার (৩ মার্চ) রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে মো. সাহিদ আহমদের সাথে স্ত্রী লাকি আক্তারের ঝগড়া হয়। সকাল ৯টার দিকে মো. সাহিদ আহমদ স্ত্রীকে মারধর করে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হলে মরদেহ পলিথিনে মুড়িয়ে ঘরে চাল রাখার ড্রামে ঢুকিয়ে রাখেন। দুই ঘণ্টা পর বের করে বিছানায় রেখে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) শিপু কুমার দাস বলেন, ‘মামলা দায়েরের পর শুক্রবার মো. সাহিদ আহমদকে আদালতে নেয়া হলে সেখানে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।’