আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: পত্রিকা কিংবা অনলাইন নিউজ পোর্টাল দেখলেই দেখা যায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনা। বছর জুড়ে হিসাব নিকাশ করলে দেখা যায় সীমাহীন ধর্ষণের ঘটনা। ২০২০ সালে পুলিশের হিসাব নিকাশ থেকে জানা যায়, বৃহত্তর সিলেট বিভাগে নারী ধর্ষনের শিকার হয়েছেন ৩২৩ জন। এছাড়া ২০১৯ সালে শিকার হয়ে ছিলেন ৩৫১ জন। ১৯ সালের তুলনায় ২০ সালে কিছুটা ধর্ষণ কমেছে।
পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সিলেট: বিভাগের ৪ জেলা ও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) মিলিয়ে গত বছর ৩২৩ জন নারী ধর্ষণের শিকার হন। এর মধ্যে সিলেট মহানগর পুলিশ এসএমপি’তে ৯৮টি ও সিলেট রেঞ্জের সকল থানা মিলে ২২৫টি ধর্ষণ মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। ২০১৯ সালে ধর্ষণ মামলার মোট সংখ্যা ছিল ৩৫১টি। এর মধ্যে এসএমপি’তে ৯৭টি ও সিলেট রেঞ্জে ২৫৪টি মামলা রেকর্ড হয়। পর্যালোচনায় দেখা যায়, তুলনামূলক ভাবে আগের বছরের তুলনায় গত বছর মামলা কমেছে ২৮টি। অবশ্য এসএমপিতে আগেরবারের তুলনায় গত বছর ১টি মামলা বেড়েছে। প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনায় পৃথক মামলা গ্রহণ করে পুলিশ।
২০২০ সালে বছর সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)-এর ৬ থানায় ৯৮টি ধর্ষণ মামলা রেকর্ড হয়। এর মধ্যে এমসি কলেজের হোস্টেলে গৃহবধূকে জোরপূর্বক তুলে ছাত্রলীগ ক্যাডারদের গণধর্ষণের ঘটনাটি দেশব্যাপী আলোচিত হয়। সিলেট রেঞ্জ পুলিশের অধীনস্থ ৪ জেলার ৩৯টি থানায় গত বছর ২২৫টি মামলা রেকর্ড হয়। এর আগের বছর মামলার সংখ্যা ছিল ২৫৪টি। সিলেট জেলায় (এসএমপি ছাড়া) গত বছর ৮৩টি ধর্ষণ মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। এর আগের বছর ধর্ষণ মামলার সংখ্যা ছিল ৬১টি। এ হিসেবে আগের বছরের তুলনায় গত বছর সিলেট জেলায় ২২টি ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে।
মৌলভীবাজার: জেলায় গত বছর ১৯টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এর আগের বছর ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল ২৭টি।
তুলনামূলকভাবে আগেরবারের তুলনায় গত বছর ৮টি ধর্ষণের ঘটনা কমেছে।
হবিগঞ্জ: জেলায় গত বছর ৭৫টি ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা রেকর্ড হয়। আগের বছর ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছিল ৯৪টি। এ হিসেবে আগের বছরের তুলনায় গত বছর হবিগঞ্জ জেলায় ধর্ষণের মামলা কমেছে ১৯টি।
সুনামগঞ্জ: জেলায় ২০২০সালে বছর ৪৮টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এর আগের বছর ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল ৭২টি। তুলনামূলক ভাবে আগের বছরের তুলনায় গত বছর সুনামগঞ্জ জেলায় ২৪টি ধর্ষণের ঘটনা কমেছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের পুলিশ সুপার (ক্রাইম এনালাইসিস ও মিডিয়া) মো. জেদান আল মুসা বলেছেন, পুলিশের তৎপরতার কারণে ধর্ষণের মামলা কিছুটা হলেও কমেছে। সমাজের সকলের কার্যকর ভূমিকা থাকলে আগামীতে আরো কমে আসবে।