শিশু পর্নোগ্রাফির দায়ে কে এম মীরাজুল আজম (২৮) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিটিটিসির সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগ। ঢাকার মুগদা থানার অতীশ দীপঙ্কর সড়কের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৯ ডিসেম্বর রাতে মীরাজুল আজমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় শিশু পর্নোগ্রাফির কাজে ব্যবহার করা আজমের মুঠোফোন, অন্যায় ডিভাইস ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আইডি জব্দ করে সাইবার অপরাধ তদন্ত বিভাগ।
সিটিটিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযুক্ত আজম অনলাইনে উঠতি বয়সী শিশুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পর্নো ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ , সংরক্ষণ ও সরবরাহ করতেন এবং তাদের নিজেদের পর্নো ছবি–ভিডিও দিতে ও করতে উৎসাহ দিতেন।
এভাবে দেশি–বিদেশি শিশুদের কাছ থেকে পর্নো ছবি–ভিডিও সংগ্রহ করে তা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে আপলোড করে আসছেন। উল্লেখ্য, অভিযুক্ত আজম তাঁর ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ আইডিতে ভারতীয় অপ্রাপ্ত এক বয়স্ক নারী ভিকটিমের অশ্লীল ছবি এবং তাঁর ব্যক্তিগত অশ্লীল ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে ওই ছবি বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল করবে মর্মে হুমকি দিয়ে ওই নারীর কাছ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় রুপি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়ার দাবি করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাইবার টেররিজম ইনভেস্টিগেশন টিম, সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ, সিটিটিসি, ডিএমপি, ঢাকা কম্পিউটার সিস্টেম ব্যবহার করে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং তথ্যের ভিত্তিতে সাইবার পেট্রলিং করার সময় এই অভিযুক্তের সন্ধান পায় এবং প্রযুক্তির সহায়তার মাধ্যমে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। রমনা মডেল থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মাধ্যমে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সিটি-সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সিনিয়র সহকারী কমিশনার সাইদ নাসিরুল্লাহর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।