কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কামিরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মোঃ মহিবুল আলম এর মেয়ে তাসমিম মিম শ্বশুরবাড়ি নির্ষাতনের শিকার হয়ে ঢাকা মেডিকেলের ICU তে লাইফ সাপোর্টে থাকাকালীন আজ ভোর ছয়টায় মৃত্যু বরন করেছেন।
মিম বাবা মায়ের আদরের একমাত্র মেয়ে ছিলেন। ২০১৬সালে কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া গ্রামে মৃত জিন্না মোল্লার ছেলে এজাজ আহমেদ বাপ্পির সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর বাপ্পির মা কহিনুর বেগম ছেলের স্ত্রীর সাথে খারাপ আচরন শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় গত পহেলা সেপ্টেম্বর তারিখ বিকাল চারটার দিকে বাপ্পি এবং তার মা কহিনুর বেগম মিলে মিমের উপর নির্ষাতন শুরু করে একপর্যায়ে মিমের অবস্হা খারাপ হয়ে যায়।
তখন মা ছেলে মিলে ঘরে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। মিমের চিৎকার শুনে পাশের লোকজন ছুটে এলে কহিনুর বেগম ঘরের ভিতরে লুকিয়ে থেকে দরজা বন্ধ করে ছিল। দরজা ভেঙে ভিতরে গিয়ে দেখে কহিনুর বেগম দাড়িয়ে আছে আর মিমের দেহ ফ্যানের সাথে ঝুলছে।তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে পরে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার তাকে ঢাকাতে রিলিজ করে।
ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে আই সি ইউ তে লাইফ সাপোর্টে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে আজ ভোর ৬টায় মৃত্যু বরন করেন। এই ঘটনার আমরা সঠিক তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি। এঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে তার পরিবার।