আবুল কাশেম রুমন, সিলেট
বিয়ের প্রলোভনে ফুসলিয়ে এক সন্তানের জননীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করার অভিযোগে দেলোয়ার হোসেন (২৯) নামক এক যুবক-কে গ্রেফতার করেছে এসএমপি সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ। ধর্ষিতা মহিলার নাম আদ্যাক্ষর ‘শ’। গ্রেফতারকৃত যুবক মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানার কোনাগাঁও গ্রামের মাহবুব আলীর ছেলে। দেলোয়ার সিলেট নগরীর ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই রোডে রফিক মিয়ার বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে।
এ ব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ধর্ষিতা মহিলা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলা নং ৫৭।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ধর্ষক যুবক দেলোয়ার পেশায় একজন গাড়ী চালক। তিনি সিলেট মেডিনোভা’র এক চিকিৎসকের গাড়ী চালাতেন। সেখানে ওই মহিলাও এক সময় চাকুরী করতেন। চাকুরীর সুবাদে মহিলার ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে মহিলার সাথে প্রায়ই কথাবার্তা বলতেন। এরই ধারাবাহিকতায় দেলোয়ার মহিলার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি দেলোয়ার মহিলার বাসায় গিয়ে কথাবার্তা ঠিক করে বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি তাদের বিয়ে সম্পন্ন হবে। কিন্তু ১৩ ফেব্রুয়ারি দেলোয়ার মহিলার বাসায় গিয়ে তিনির ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করে। ১৪ ফেব্রুয়ারি পূর্ব কথা মত মহিলাকে বিয়ে না করে মামলার এজাহার নামীয় ২নং আসামী রায়হানের প্ররোচনায় পড়ে দেলোয়ার বেলা ১১টায় মহিলার কাজলশাহস্থ বাসায় গিয়ে বাসার ভেতরে আলামারিতে রক্ষিত নগদ ২ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে দেলোয়ার পালিয়ে যায়।
ঘটনার সময় মহিলা একমাত্র শিশু মেয়েকে বাসায় রেখে কেনাকাটার জন্য বাইরে যান। ফিরে এসে দেখতে পান এবং মেয়ের বক্তব্য শুনে বিষয়গুলো অবগত হন। পরে মহিলা দেলোয়ারের ফোনে যোগাযোগ করলে দেলোয়ার বিয়েতে অসম্মতি প্রকাশ করে ফোন বন্ধ করে রাখে।
মহিলা ও তার এক ছোট বোন সঙ্গে নিয়ে সিলেটে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। কয়েক বছর আগে তাদের পিতা-মাতা মারা যান।
সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানার এস.আই অঞ্জন কুমার দেবনাথের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গত ২০ ফেব্রুয়ারি কমলগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় কোনাগাঁউ গ্রাম থেকে গভীর রাতে ধর্ষণের অভিযোগে দেলোয়ারকে গ্রেফতার করেন।
এস.আই অঞ্জন কুমার দেবনাথ বলেন, গ্রেফতারকৃত দেলোয়ারকে পরের দিন সিলেটের সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। তিনি বলেন এজাহার নামীয় ২নং আসামী রায়হানকে গ্রেফতার করতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।