বুড়িগঙ্গার পানি দূষণরোধে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ কী, তা জানতে চেয়েছে উচ্চ আদালত।
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেড়্গিতে বুড়িগঙ্গার পানি দূষণরোধে হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিষয়ক শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আগামী ২১ জানুয়ারির মধ্যে ওয়াসার এমডিকে বিষয়টি আদালতে হলফনামা আকারে জানাতে বলা হয়েছে।
রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। ওয়াসার এমডির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট উম্মে সালমা।
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে জনস্বার্থে করা রিট আবেদনের পরিপ্রেড়্গিতে বুড়িগঙ্গার পানি দূষণরোধে ২০১১ সালের ১ জুন কয়েকদফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয় হাইকোর্ট।
রায়ে ছয় মাসের মধ্যে ওয়াসার এমডিকে বুড়িগঙ্গার সংযুক্ত বিভিন্ন লাইন থেকে বর্জ্য নিঃসরণ মুখ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। রায়টি চলমান মামলা হিসেবে থাকায় এটি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ না নেওয়ায় ইতিপূর্বে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়।
আদালতের তলবের পরিপ্রেড়্গিতে গত বছর ৪ মার্চ সশরীরে হাজির হয়ে রায় বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন ওয়াসার এমডি। পরে ১৮ আগস্ট, ৭ সেপ্টেম্বর ও ১৪ সেপ্টেম্বর ওয়াসার পক্ষ থেকে তিনটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হলেও হাইকোর্টের রায় ও নির্দেশনা বাস্তবায়নের কোনো অগ্রগতি না থাকায় তা গ্রহণ না করে ফের অগ্রগতি প্রতিবেদন হলফনামা আকারে দাখিল করতে বলে আদালত।
এরই ধারাবাহিকতায় শুনানি শেষে ২১ জানুয়ারি হলফনামা দাখিলের নির্দেশ আসে।
মনজিল মোরসেদ বলেন, হাইকোর্টের রায়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকলেও বুড়িগঙ্গার পানিদূষণে দায়ী শিল্প তরল বর্জ্য ও গৃহস্থালি বর্জ্যের নিঃসরণ বন্ধে ওয়াসার এমডি কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তিনি যে হলফনামা দাখিল করেছেন এর সঙ্গে আদালতের রায় বাস্তবায়নের সম্পৃক্ততা ছিল না। রায় বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা না থাকলে বুড়িগঙ্গার পানির দূষণ কোনোদিনই বন্ধ হবে না।