শুক্র গ্রহে ফসফিন গ্যাসের সন্ধান মিলেছে; যে গ্যাস পৃথিবীতে জীবিত প্রাণীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের এই দাবি পৃথিবীর নিকটতম গ্রহটিতে প্রাণের অস্তিত্ব সম্পর্কে নতুন ধারণা হাজির করেছে। সোমবার ফরাসী সংবাদসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শুক্র গ্রহের তাপমাত্রার ব্যাপারে বলা হয়, এই গ্রহের যে উচ্চ তাপমাত্রা রয়েছে; তা সাধারণত সীসা গলানোর জন্য উত্তপ্ত চুলার মতো। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, শুক্র গ্রহের তাপমাত্রা ৪৬৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রায় প্রাণের অস্তিত্ব টিকে থাকার সম্ভাবনা একেবারে ক্ষীণ।
হাওয়াই এবং চিলির আটাকামায় টেলিস্কোপ ব্যবহার করে একদল বিশেষজ্ঞ শুক্র গ্রহের মেঘের আস্তরণ পর্যবেক্ষণ করেন। এতে তারা ফসফিন গ্যাসের অস্তিত্ব শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
বিবর্ণ এই গ্যাসের গন্ধ রসুন এবং পচে যাওয়া মাছের গন্ধের মতো। পৃথিবীতে সাধারণত এটি প্রাকৃতিকভাবে ব্যাকটেরিয়া অথবা ক্ষয়ে যাওয়া জৈব পদার্থ থেকে উৎপন্ন হয়।
সুইনবার্নি বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও অস্ট্রেলিয়ার দ্য রয়্যাল ইনস্টিটিউশনের প্রধান বিজ্ঞানী অ্যালান ডুফি বলেন, আমি এখন পর্যন্ত পৃথিবীর বাইরে প্রাণের উপস্থিতির সবচেয়ে চমৎকার আলামত দেখতে পেয়েছি।
তবে নেচার অ্যাস্ট্রোনমিতে লেখা নিবন্ধে বিজ্ঞানীরা জোর দিয়ে বলেছেন, শুধুমাত্র ফসফিনের উপস্থিতি শুক্র গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব প্রমাণ করে না।
শুক্র গ্রহ নিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের তুমুল আগ্রহ রয়েছে। এটি পৃথিবীর অত্যন্ত কাছে অবস্থিত একটি গ্রহ; যা আকারে প্রায় পৃথিবীর সমান। অতীতেও এই গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন তথ্য হাজির করেছিলেন।