আহম্মেদ কাওসার (ইবু) পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর বাউফলের কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সালেহ উদ্দিন পিকু ও সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সভাপতি সালেহ উদ্দিন পিকুর দুই ভাই নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ রবিবার সন্ধ্যায় কেশবপুর কলেজ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবলীগ নেতা ইসাত সভাপতির আপন ভাই ও রুম্মান চাচাতো ভাই বলে নিশ্চিত করেছে পুুলিশ। দু’গ্রুপই স্থানীয় এমপি আ স ম ফিরোজের সমর্থক বলে জানা গেছে।
পটুয়াখালীর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বাউফল সার্কেল) ফারুক হোসেন জানান, আগামী ডিসেম্বরে কেশবপুর ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক (ইউপি চেয়ারম্যান) গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এরই জের ধরে আজ সন্ধ্যায় সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যানের সমর্থকরা সভাপতির আপন ভাই যুবলীগ নেতা ইসাত ও চাচাতো ভাই রুম্মানকে কুপিয়ে হাত পায়ের রগ কর্তন করে।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়েছে।