মোঃ আলাউদ্দীন মজুমদার শাহীন সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)সংবাদদাতাঃ
সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় চোরের উৎপাতে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। আতঙ্কে ১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে,শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার ভাটি তারাপুর গ্রামের বিপুল চন্দ্রের ছেলে শুভ চন্দ্র রাত ৩ টার সময় মুদির দোকান থেকে বাড়িতে আসে। এ সময় শুভ রান্না ঘরের দরজা খোলা দেখে প্রবেশ করে চোর দেখতে পান। ধরতে গিয়ে ধস্তাধস্তি করে চোর পালিয়ে যায়। এমন সময় তার বাবা মাকে এসে তাকে জড়িয়ে ধরে। এমতাবস্থায় তাদের বাড়িতে থাকা শুভ এর মামা স্বপন কুমার এসে তাকে শান্ত হতে বলেন। তাৎক্ষণিকভাবে স্বপন আঙ্গিনা বাইরে থেকে ফিরে এসেই তার স্ত্রীর সামনে লুটিয়ে পড়ে। এর ১ঘন্টা পরে সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শনিবার ঈদের দিন দুপুরে তার গ্রামের বাড়িতে তাকে দাহ্য করা হয়। স্বপন গত মাস ছয়েক আগে বিয়ে করেছে। তার স্ত্রী ৪ মাসের অন্তঃস্বত্তা কথা জানা গেছে ।
স্বপন সুন্দরগঞ্জে রুটির দোকানে কাজ করত। সে পার্শ্ববর্তী সাদুল্লাপুর উপজেলার জামুডাঙ্গা গ্রামের অমূল্য সরকারের ছেলে। অপরদিকে চোর আতঙ্কে স্বপনের মৃত্যু হয়েছে নাকি অন্য কিছু! এনিয়ে এলাকায় চলছে নানা ধরণের গুঞ্জন। বিশেষ করে চোরের নাম জানার পরও শুভ চন্দ্র প্রকাশ না করায় সন্দেহের দানা আরও জটিল ভাবে বাধছে।
ওই এলাকায় প্রায় চুরির ঘটনা ঘটেই চলছে। মোবারক আলীর ছেলে তোফাজ্জল হকের ৭০ হাজার টাকা ও এক জোড়া সোনার গহনা, ছমির আলীর ছেলে আব্দুল মজিদের এক জোড়া সোনার গহনা এবং প্রহ্লাদ চন্দ্রের ছেলে প্রশান্ত চন্দ্রের এক বস্তা কাঁসার থালা চুরি হয়ে গেছে বলে জানা যায়। যার কারণে চোর আতঙ্কে ভুগছে ওই গ্রামের মানুষজন।
এব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এনিয়ে ওসি আব্দুল্লাহেল জামানের সাথে কথা হলে বলেন,আমি কোন কিছু জানিনা।আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন স্বপনের বন্ধু-বান্ধব ও সহকর্মীরা।