এপিএস আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
আমেরিকায় মানুষ ছাড়াও প্রথম যে প্রাণীর মধ্যে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছিল সেই জার্মান শেপার্ডটি মারা গেল। নিউ ইয়র্কের স্টেটেন আইল্যান্ডের এক ব্যক্তির করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। তার কিছুদিন পরেই তাঁর পোষ্যটির শ্বাস কষ্ট শুরু হয়। পরে জানা যায় কুকুরটির করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে, সম্প্রতি সে মারা যায়। যদিও ঠিক কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছিল তা নিশ্চিত করে জানার সুযোগ হয়নি। স্টেটেন আইল্যান্ডের বাসিন্দা রবার্ট ও অ্যালিসন ম্যাহোনে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলকে জানিয়েছেন, তাঁদের পোষ্য জার্মান শেপার্ড ‘বাডি’-র বয়স ছিল সাত বছর। এপ্রিলের মাঝামঝি করে তার শ্বাস কষ্ট শুরু হয়। তার কয়েক সপ্তাহ আগেই রবার্টের করোনা ধরা পড়ে। তার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়া পোষ্যটিকে পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। মে মাস নাগাদ বাডির করোনা টেস্ট করা হয়। তাতেই রেজাল্ট পজিটিভ আসে। জুন মাসে মার্কিন প্রশাসনের একটি বিভাগের কাছে খবর যায়, নিউ ইয়র্কের একটি জার্মান শেপার্ডের করোনা ধরা পড়েছে। কিন্তু কিছুতেই তার পালকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিকে পোষ্যটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল, রক্তবমি শুরু হয়। এর পর শেষে ১১ জুলাই তার মৃত্যু হয়। ঠিক করোনার কারণেই কুকুরটির মৃত্যু হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হয়নি। পশুচিকিৎসক জানিয়েছিলেন, কুকুরটির লিম্ফোমা (ইমিউন সিস্টেমের ক্যানসার) হয়ে গিয়েছিল।
নিউ ইয়র্কের স্বাস্থ্য দফতর জার্মান শেপার্ডটির মৃতদেহ পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করে। সেই মতো যোগাযোগ করা হয় রবার্টের সঙ্গে। কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। তত দিনে বাডির শেষকৃত্য সম্পন্ন করে ফেলা হয়েছে। ফলে করোনার কারণে না অন্য কোনও রোগে কুকুরটির মৃত্যু হল তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি।
মার্কিন প্রশাসনের এক দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সে দেশে এখনও পর্যন্ত ১২টি কুকুর, ১০টি বিড়াল এবং একটি করে বাঘ ও সিংহের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। তবে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি, যাতে বলা যায়, পশুদের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। তবে মানুষের শরীর থেকে পশুর শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কিছু ঘটনা সামনে আসছে। আনন্দ বাজার