এপিএস আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
করোনা অতিমারীর কারণে ভারতে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ থাকায় সঙ্কটে পড়েছেন বাংলাদেশের রোগীরা। বিশেষ করে ক্যান্সার, লিভার, কিডনি–সহ গুরুতর অসুস্থ রোগীদের অধিকাংশের চিকিৎসাই হয় ভারতে।
ঢাকার কাজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা ব্যাঙ্ক–কর্তা জিয়াউল হাসান বলেন, তঁার মা সাবিহা খাতুন গত দেড় বছর ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করছেন। মুম্বইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে কেমোথেরাপির পর অবস্থার উন্নতি হয়েছিল। এর মধ্যেই ভারতে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসাও বন্ধ হয়ে যায়। দেশে বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরেও তঁার কোনও চিকিৎসা করাতে পারেননি। গত ৩ মে বিনা চিকিৎসায় তঁার মা মারা যান। একই ধরনের কথা বললেন ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম। তঁার স্ত্রীও কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। ডায়ালায়সিস না পেয়ে তঁার স্ত্রীর মৃত্যু হয়। তিনি জানান, টাকা থাকলেও স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে পারেননি। বেসরকারি হিসেবে বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন দু’হাজারেরও বেশি মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতেন। এই বিপুল সংখ্যক রোগীর চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষমতা নেই দেশের হাসপাতালে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে চিকিৎসার অভাবেই করোনায় বহু মৃত্যু হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা খেঁাজ নিয়ে দেখেছি, গুরুতর অসুস্থ রোগীরা এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘুরতে ঘুরতেই করোনা–আক্রান্ত হচ্ছেন।’
অন্য দিকে, বাংলাদেশে করোনায় সোমবারও ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দঁাড়িয়েছে ২,৬৬৮। এক দিনে আরও ২,৯২৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৭ হাজার ৪৫৩ জন। আজকাল