নিজস্ব সংবাদাতা: গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংবাদিকরা আমন্ত্রণপত্র পায়নি। অনুষ্ঠানে অতিথিও করা হয়নি কোন সাংবাদিককে। বিষয়টি নিয়ে সমালোচলার ঝড় বইছে। জাদুঘর পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উঠেছে জোর দাবীও।
গ্রামীন সাংবাদিকতার পথিকৃত লেখক বাউল সাধক কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের ১৮৭ তম জন্মদিন ছিল গতকাল সোমবার। এ উপলক্ষে কুমারখালীর সাংবাদিক কাঙ্গাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের চরমভাবে উপেক্ষিত করেছেন। গত বছরও সাংবাদিকদের না জানিয়ে অনুষ্ঠান করা হয়েছিল। সে সময় ‘ভুল হয়েছে‘ বলে ক্ষমা চাইলেও এবারো একই কাজ করেছে কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক মহলে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সোস্যাল মিডিয়ায় চলছে প্রতিবাদের ঝড়।
দৈনিক নয়াদিগন্তের সাংবাদিক সোহাগ খান, দৈনিক ভোরের কাগজের প্রতিনিধি হাবীব চৌহান, মাইটিভির প্রতিনিধি লিপু খন্দকার, এশিয়ান টিভির প্রতিনিধি কে এম আর শাহিন, কৃষি কন্ঠের মাহবুব উল আহসান উল্লাস, খোলা কাগজের সংবাদদাতা মিজানুর রহমান নয়ন, অপরাধ অনুসন্ধানের মাহমুদুল হাসান আলাল, দৈনিক বর্তমান সময়ের রিপোর্টার মাসুদ রানা, কে এম হিমেল আহমেদ প্রমূখ সাংবাদিকরা জানান, আমরা কোন আমন্ত্রণপত্র পায়নি। জেলা পর্যায়ের কোন সাংবাদিককেও জানানো হয়নি বলে শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক মহলে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সোস্যাল মিডিয়ায় চলছে প্রতিবাদের ঝড়। সাংবাদিকদের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের না জানিয়ে কথিপয় রাজনীতিক ও বুদ্ধিজীবিকে অতিথি করায় সাংবাদিক কাঙাল হরিনাধ মজুমদার জাদুঘর পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে ।
জানা যায়, সাংবাদিক কাঙাল হরিনাধ মজুমদার জাদুঘর আয়োজিত উনিশ শতকের মৃত্তিকা সংলগ্ম বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি ঐতিহাসিক গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশক ও গ্রামীণ সাংবাদিকততার প্রবাদ পুরুষ কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের ১৮৭তম জন্ম বার্ষিকী অনুষ্ঠান সকালে জাদুঘর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাজীবুল ইসলাম খান প্রধান অতিথি ছিলেন। প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট গবেষক মুজিবনগর সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অধ্যাপক স্বপন কুমার রায় ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল অধ্যাপক মো: আনছার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন পৌর প্যানেল মেয়র এস এম রফিক ও সোহেল আমিন বাবু।
স্বাগত বক্তব্য ও সঞ্চালনায় ছিলেন সৈয়দ এহসানুল হক। তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতির কারনে স্বল্প পরিসরে আয়োজন ছিল। সাংবাদিকের আমন্ত্রণের ব্যাপারে তিনি এড়িয়ে যান।