এপিএস আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
চীনের সঙ্গে লাদাখ সমস্যা নিয়ে আলোচনা চললেও কতদূর সমাধান মিলবে, তা নিয়ে সরকারও নিশ্চিত নয়। শুক্রবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, আলোচনা কতটা ফলপ্রসূ হবে, সে ব্যাপারে আমি গ্যারান্টি দিতে পারব না। তবে আলোচনার মাধ্যমে যাতে মীমাংসাসূত্র পাওয়া যায়, সেটা অবশ্যই কাম্য। সেই চেষ্টাই চলছে। কিন্তু সত্যিই সাফল্য পাওয়া যাবে কি না, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। এতদিন দফায় দফায় চীনের সঙ্গে আলোচনার পর হঠাৎ কেন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর গলায় সতর্কতার সুর, তা নিয়ে জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।
চীনের সঙ্গে লাদাখ সীমান্তে সংঘাতপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী লাগাতার যে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, সেই অবস্থান থেকে সরে এসে অবশ্য আলোচনার পথেই সরকার এগিয়েছে। সেনাস্তরে বৈঠক হচ্ছে সীমান্তে। সর্বোচ্চ প্রশাসনিক স্তরে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে চীনের বিদেশমন্ত্রীর টেলিফোনে আলোচনা হচ্ছে। কূটনৈতিক স্তরে নিয়ম করে ভিডিও কনফারেন্সও হচ্ছে। পাশাপাশি চীনকে বাণিজ্যিকভাবে শিক্ষা দিতে ভারত অ্যাপ নিষিদ্ধ করে এবং বিভিন্ন বাণিজ্যিক চুক্তি বাতিল করে কঠোর বার্তা দেওয়ার প্রক্রিয়াও অব্যাহত রেখেছে।
এসব থেকেই স্পষ্ট, দু’পক্ষই সামরিক সংঘাত এড়াতে আগ্রহী। কিন্তু ভারত সরকার হুঁশিয়ারি দেওয়া অব্যাহতই রাখছে। তাই শুক্রবারও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং লে এবং লাদাখ সফরে গিয়ে আবার বললেন, গলওয়ান উপত্যকায় চীনের সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হওয়া ২০ জন ভারতীয় সেনার আত্মবলিদান ব্যর্থ হবে না। প্রতিরক্ষামন্ত্রী লাদাখে দাঁড়িয়ে শুক্রবার পুনরাবৃত্তি করেছেন আগে একাধিকবার দেওয়া হুঁশিয়ারির। বলেছেন, সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের এক ইঞ্চি জমিও কেউ দখল করতে পারবে না। গোটা দেশবাসীকে আমি এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
প্রসঙ্গত, সেনাস্তরের শেষতম বৈঠকটি হয় গত ১৪ জুলাই। প্রায় ১৫ ঘন্টা ধরে চলা ওই বৈঠকের পরও যে সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া নিয়ে কোনও মীমাংসা সূত্র পাওয়া যায়নি, সেটা স্পষ্ট। কারণ, ভারতের বিদেশমন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে স্বীকার করেছে, সেনা সরানোর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা জটিল। সেই প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখা দরকার। সেই বিবৃতি এবং আজ রাজনাথ সিংয়ের মন্তব্য থেকে প্রশ্ন উঠছে, লাদাখে চীন বনাম ভারতের স্নায়ুর লড়াই কমেনি। সীমান্ত থেকে সেনা সম্পূর্ণ পিছু হটেনি কোনও পক্ষেরই। সূত্রঃ বর্তমান