এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম: অবশেষে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও টেন্ডার জালিয়াতির মুলহোতা শতকুটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক, সম্প্রতি জাতীর জনকের ছবি ডাস্টবিনে ফেলে দেয়ার নায়ক আশরাফ মজিদ এর বিরুদ্ধে তদন্তের নিদেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম, জাল জালিয়াতি ও তত্বাবধায়ক এর স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে ব্যাপক সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় এবং ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এরই আলোকে মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক একটি তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মেলেন্দু রায়কে এই তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মেলেন্দু রায় তদন্তের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
সাম্প্রতিক কালে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের অসংখ্য দুর্নীতি নিয়ে দেশের অধিকাংশ সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন টেন্ডারে অংশগ্রহণ করা ঠিকাদার ও কুড়িগ্রামের অনেকেই সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বরাবর বিভিন্ন প্রমানসহ লিখিত অভিযোগ করেন । দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, সেচ্ছাচারিতার কারণে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা ভেঙে পড়েছে। সাধারণ গরিব রোগীরা সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ইতোপূর্বে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট দফায় দফায় বিভিন্ন অভিযোগ দাখিলের প্রেক্ষিতে জানা যায় যে বর্তমান তত্বাবধায়ক ডাঃ আবু মোঃ জাকিরুল ইসলাম কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন টেন্ডার, কেনাকাটা, বদলী সংক্রান্ত বিষয়ে চরম দুর্নীতি শুরু করে । সর্ব প্রথম ঔষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জামাদী ও বিভিন্ন সামগ্রীর টেন্ডার দরপত্রে (স্মারক: জেনা :হাস:/কুড়ি/এমএসআর/২০১৯-২০২০/৯৮৪০ তাং ১৮.০৯,২০২৯) সুনির্দিষ্ঠ অনিয়ম নিয়ে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ করেন মের্সাস শাহীন ফার্মেসী ও শাহজাহান চৌধুরী। এরপরে পথ্য, ধুপি, স্টেশনারীর টেন্ডার গোপন করে সম্পাদন করলে মিডিয়া ও ঠিকাদারদের চাপের মুখে তত্বাবধায়ক ডাঃ আবু মোঃ জাকিরুল ইসলাম উক্ত টেন্ডার বাতিল করে দেন। জেনা:হাস:/কুড়ি /আউটসোর্সিং/২০১৯-২০২০/১৮২ তারিখ: ৩০.০১.২০২০ ইং এর স্মারক মোতাবেক আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে ২৯ জন জনবল নিয়োগে চরম দুর্নীতি করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিযোগকারী বলেন, কার্যাদেশ প্রাপ্ত স্বরলিপি সার্ভিসেস প্রাইভেট লিঃ প্রতিষ্ঠানটির উক্ত টেন্ডারে অংশগ্রহণের কোন যোগ্যতাই ছিলনা। বিধি মোতাবেক ব্যাংক সলভেন্সি, ব্যাংকের জামানত, বাংলাদেশ সিকিউরিটি সার্ভিস এর সনদ ও অন্যান্য কাগজপত্র ভুয়া এবং জাল করা হয়েছে। কোন প্রকার যাচাই বাছাই ছাড়া রংপুরস্থ স্বরলিপি সার্ভিসেস প্রাইভেট লিঃ কে টেন্ডারে মনোনয়ন সহ কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নামকাওয়াস্তে। প্রতিটি নিয়োগের বিপরীতে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা নিয়ে তত্বাবধায়ক ও প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক আশরাফুল মজিদ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। কতৃপক্ষ বরাবর বিভিন্ন প্রমাণাদী সহ এই টেন্ডার বাতিলের জন্যে আবেদন করেছেন আল আরাফাত সার্ভিসেস লিঃ।
আউটসোর্সিং এর টেন্ডারে মনোনীত ঠিকাদারকে চুক্তিনামার আগেই কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। চুক্তি সম্পাদন ছাড়া কার্যাদেশ দেয়ার বিষয়ে স্বয়ং ঠিকাদার স্বরলিপি বিস্ময় প্রকাশ করে তত্বাবধায়ক বরাবর অভিযোগ করেন।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সকল দুর্নীতির আলোচিত ব্যক্তি প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক আশরাফুল মজিদকে স্বা:অধি:/প্রশা-৩/বদলী কমিটি ৫৫৫/২০২০/১০৯০/১(১২) তাং ০১/০৩/২০২০ ইং স্মারকে রাজশাহীর পুঠিয়ায় বদলী করলেও অদ্যাবধি তিনি অবৈধভাবে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত। তার বদলির আদেশ স্থগিতও হয়নি। এতদসংক্রান্ত বিভিন্ন তর অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে যাচ্ছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। এরই আলোকে আগামী ১৫ই জুলাই প্রথম তদন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
এ ব্যাপারে ৮ জুলাই বুধবার কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডাক্তার হাবিবুর রহমান এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান।
অবশেষে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও টেন্ডার জালিয়াতির মুলহোতা শতকুটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক, সম্প্রতি জাতীর জনকের ছবি ডাস্টবিনে ফেলে দেয়ার নায়ক আশরাফ মজিদ এর বিরুদ্ধে তদন্তের নিদেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সীমাহীন দুর্নীতি, অনিয়ম, জাল জালিয়াতি ও তত্বাবধায়ক এর স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে ব্যাপক সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় এবং ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এরই আলোকে মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক একটি তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মেলেন্দু রায়কে এই তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মেলেন্দু রায় তদন্তের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
সাম্প্রতিক কালে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের অসংখ্য দুর্নীতি নিয়ে দেশের অধিকাংশ সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন টেন্ডারে অংশগ্রহণ করা ঠিকাদার ও কুড়িগ্রামের অনেকেই সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বরাবর বিভিন্ন প্রমানসহ লিখিত অভিযোগ করেন । দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, সেচ্ছাচারিতার কারণে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা ভেঙে পড়েছে। সাধারণ গরিব রোগীরা সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ইতোপূর্বে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট দফায় দফায় বিভিন্ন অভিযোগ দাখিলের প্রেক্ষিতে জানা যায় যে বর্তমান তত্বাবধায়ক ডাঃ আবু মোঃ জাকিরুল ইসলাম কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন টেন্ডার, কেনাকাটা, বদলী সংক্রান্ত বিষয়ে চরম দুর্নীতি শুরু করে । সর্ব প্রথম ঔষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জামাদী ও বিভিন্ন সামগ্রীর টেন্ডার দরপত্রে (স্মারক: জেনা :হাস:/কুড়ি/এমএসআর/২০১৯-২০২০/৯৮৪০ তাং ১৮.০৯,২০২৯) সুনির্দিষ্ঠ অনিয়ম নিয়ে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ করেন মের্সাস শাহীন ফার্মেসী ও শাহজাহান চৌধুরী। এরপরে পথ্য, ধুপি, স্টেশনারীর টেন্ডার গোপন করে সম্পাদন করলে মিডিয়া ও ঠিকাদারদের চাপের মুখে তত্বাবধায়ক ডাঃ আবু মোঃ জাকিরুল ইসলাম উক্ত টেন্ডার বাতিল করে দেন। জেনা:হাস:/কুড়ি /আউটসোর্সিং/২০১৯-২০২০/১৮২ তারিখ: ৩০.০১.২০২০ ইং এর স্মারক মোতাবেক আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে ২৯ জন জনবল নিয়োগে চরম দুর্নীতি করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিযোগকারী বলেন, কার্যাদেশ প্রাপ্ত স্বরলিপি সার্ভিসেস প্রাইভেট লিঃ প্রতিষ্ঠানটির উক্ত টেন্ডারে অংশগ্রহণের কোন যোগ্যতাই ছিলনা। বিধি মোতাবেক ব্যাংক সলভেন্সি, ব্যাংকের জামানত, বাংলাদেশ সিকিউরিটি সার্ভিস এর সনদ ও অন্যান্য কাগজপত্র ভুয়া এবং জাল করা হয়েছে। কোন প্রকার যাচাই বাছাই ছাড়া রংপুরস্থ স্বরলিপি সার্ভিসেস প্রাইভেট লিঃ কে টেন্ডারে মনোনয়ন সহ কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নামকাওয়াস্তে। প্রতিটি নিয়োগের বিপরীতে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা নিয়ে তত্বাবধায়ক ও প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক আশরাফুল মজিদ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। কতৃপক্ষ বরাবর বিভিন্ন প্রমাণাদী সহ এই টেন্ডার বাতিলের জন্যে আবেদন করেছেন আল আরাফাত সার্ভিসেস লিঃ।
আউটসোর্সিং এর টেন্ডারে মনোনীত ঠিকাদারকে চুক্তিনামার আগেই কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। চুক্তি সম্পাদন ছাড়া কার্যাদেশ দেয়ার বিষয়ে স্বয়ং ঠিকাদার স্বরলিপি বিস্ময় প্রকাশ করে তত্বাবধায়ক বরাবর অভিযোগ করেন।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সকল দুর্নীতির আলোচিত ব্যক্তি প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক আশরাফুল মজিদকে স্বা:অধি:/প্রশা-৩/বদলী কমিটি ৫৫৫/২০২০/১০৯০/১(১২) তাং ০১/০৩/২০২০ ইং স্মারকে রাজশাহীর পুঠিয়ায় বদলী করলেও অদ্যাবধি তিনি অবৈধভাবে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত। তার বদলির আদেশ স্থগিতও হয়নি। এতদসংক্রান্ত বিভিন্ন তর অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে যাচ্ছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। এরই আলোকে আগামী ১৫ই জুলাই প্রথম তদন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
এ ব্যাপারে ৮ জুলাই বুধবার কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন ডাক্তার হাবিবুর রহমান এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান