পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৪ নম্বর দশমিনা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ লিটনের বিরুদ্ধে চার মাসের ভিজিডির চাল আত্মসাতের অভিযোগ এনেছেন হতদরিদ্ররা।
এ নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) দুপুরে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভিজিডির চালবঞ্চিতরা। অভিযোগ থেকে জানা যায়, দশমিনা উপজেলার ৪ নম্বর দশমিনা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৭২৪ জন হতদরিদ্রের মাঝে ভিজিডির চাল বিতরণ করা হয়। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে সব সুবিধাভোগীর কাছ থেকে ভিজিডির কার্ড নিয়ে নেন ৪ নম্বর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। ২০১৯ সালের ১২ মাস ও ২০২০ সালের ছয় মাসসহ ১৮ মাসের ১৪ মাসের চাল বিভিন্ন কিস্তিতে বিতরণ করেন চেয়ারম্যান। এরই মধ্যে গত ৫ জুলাই চাল দেবে বলে সুবিধাভোগীদের ইউনিয়ন পরিষদে আসতে বলেন তিনি। এরপর এক মাসের চাল দিয়ে সুবিধাভোগীদের কার্ড দিয়ে দেন চেয়ারম্যান। কার্ড হাতে আসার পর সুবিধাভোগীরা দেখেন ১৮ মাসের টিপ সই। অথচ তাদের ১৪ মাসের চাল দিয়ে বাকি চার মাসের চাল আত্মসাৎ করেছেন চেয়ারম্যান। সুবিধাভোগীদের অভিযোগ, ১৪ মাসের চাল দিয়ে বাকি চার মাসের চাল আত্মসাৎ করেছেন চেয়ারম্যান। অথচ কার্ডে ১৮ মাসের টিপ সই দিয়েছেন তিনি। এর আগে এসব কার্ড করে দিতে ৩-৪ হাজার টাকা করে নিয়েছেন চেয়ারম্যান।
অভিযোগকারী রুনিয়া ও শাহনাজসহ কয়েকজন বলেন, চেয়ারম্যান অনেক ক্ষমতা। তার সামনে কেউ কথা বলার সাহস পায় না। ১৮ মাসের মধ্যে ১৪ মাসের চাল দিয়ে বাকি চার মাসের চাল আত্মসাৎ করেছেন চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৪ নম্বর দশমিনা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমি দুই বারের চেয়ারম্যান। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি কিংবা চাল কম দিয়েছি এমন কোনো নজির আমার বিরুদ্ধে নেই। আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য সুবিধাভোগীদের দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে প্রতিপক্ষ।