সোহাগ মাহমুদ খান, কুমারখালি প্রতিনিধি: ‘ স্যার পাঁচ জুন থেকে আমার করোনা পজেটিভ এসেছে।বাড়িটি লকডাউন করা।আমার দুই সন্তান।একজনের বয়স সাত মাস।মায়ের বুকের দুধ পায়না শিশু।স্যার আমার দুধের বাচ্চাটি না খেয়ে মারা যাচ্ছে।পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও জীবন ধারণের কিছু নেই।আমার অনেক আত্মীয়স্বজন আছে।কিন্তুু করেনাকালে কেউ এগিয়ে আসেনি’
এমন আবেগঘন কথার ঝুড়ি নিয়ে হঠাৎ কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার মানবিক অফিসার ইনচার্জ মোঃ মজিবুর রহমানের মুঠোফোনটি বেজে উঠে।’ ফোনে কথা বলা শেষ হতে না হতেই শিশুটির জন্য চারটি ল্যাকটোজন টু দুধ, ২০ কেজি চাউল, আলু,পটল, ডাল, বেগুন,তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি দিয়ে থানার এস আই শিমরুল ও সঙ্গীয় ফোর্সের মাধ্যমে করোনা রোগীর বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী উপহার পাঠান ওই মানবিক ওসি মজিবুর।
ফোন করা করোনা রোগীর নাম খন্দকার আব্দুল আওয়াল।তিনি উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে।তিনি পেশায় একজন এনজিও কর্মী।
এবিষয়ে এনজিও কর্মী আব্দুল আওয়াল মুঠোফোনে বলেন,৫ জুন থেকে আমি করোনা পজেটিভ। মা, স্ত্রী, দুই সন্তানসহ ৫ সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম আমি নিজেই।আমার শিশুটির দুধ ফুরিয়ে গেছে।অনেক আত্মীয় স্বজন,চেয়ারম্যান, মেম্বর কেউ খোঁজ রাখেনি।টাকা দিয়েও জিনিস কিনতে পারছিনা।আমি বাধ্য হয়ে শিশুটির জন্য ওসি স্যাররে ফোন দিয়েছি।তিনি শিশুর দুধসহ অনেক খাবার পাঠিয়েছে।আমি খুব খুশি।তিনি আরো বলেন,এনজিও থেকে ফোন দিয়ে খোঁজ খবর নিলেও কেউ সাহায্য করেনি।
ওসি মজিবুর রহমান বলেন, হঠাৎ ফোনটি বেজে উঠল।কলটি গ্রহন করতেই শুনি আমার সাত মাসের শিশুর দুধ নাই,বাড়িতে খাবার নাই।আত্মীয় স্বজন কেউ খোঁজ নিচ্ছেনা।স্যার আমাদের বাঁচান।এমন কথা শুনেই তার বাড়িতে শিশুর দুধসহ খাবার পাঠানো হয়েছে।