এপিএস আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
আরব থেকে কেরলে সোনা পাচারের ঘটনায় অভিযুক্ত স্বপ্না সুরেশকে গ্রেফতার করল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। রবিবার স্বপ্নার সঙ্গেই বেঙ্গালুরু থেকে ধরা হয়েছে এই মামলার আরেক অভিযুক্ত সন্দীপ নায়ারকে। এনআইএ-র একটি সূত্র জানাচ্ছে, আগামী বুধবার ধৃতদের আদালতে পেশ করা হবে।
কূটনৈতিক যোগাযোগ (ডিপ্লোম্যাটিক চ্যানেল) ব্যবহার করে ৩০ কিলোগ্রাম সোনা আমদানির এই মামলার তদন্তভার বুধবার এনআইএ-কে দিয়েছিল কেন্দ্র। শুক্রবার স্বপ্না, তাঁর বন্ধু সন্দীপ এবং আরেক অভিযুক্ত, এর্নাকুলমের বাসিন্দা ফাজিল ফরিদের বিরুদ্ধে ‘বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (১৯৬৭)-এর ১৬, ১৭ এবং ১৮ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। তবে অভিযোগ সামনে আসার পর থেকেই স্বপ্না ও সন্দীপ ফেরার ছিলেন।
গত ৪ জুলাই তিরুঅনন্তপুরম বিমানবন্দরে ৩০ কিলোগ্রাম সোনা আটক করেছিল শুল্ক দফতর। যার বাজার মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। অভিযোগ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে ‘ডিপ্লোম্যাটিক কার্গো’ হিসেবে তিরুঅনন্তপুরমে ওই সোনা এসেছিল। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিরুঅনন্তপুরমে আরব আমিরশাহি দূতাবাসের প্রাক্তন জনসংযোগ আধিকারিক সরিথ কুমারকে গ্রেফতার করে শুল্ক দফতর। তিনি বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন।
তিরুঅনন্তপুরমে আরব আমিরশাহি দূতাবাসেই লিয়াজোঁ অফিসার পদে ছিলেন স্বপ্না। তিনি কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দফতরের তথ্যপ্রযুক্তি প্রচার সংক্রান্ত বিষয়টিও সামলাতেন। কেরল তথ্য-প্রযুক্তি দফতরের সঙ্গে যুক্ত একটি সরকার নিয়ন্ত্রিত সংস্থার মার্কেটিং অফিসারের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। ফলে কেরলে সোনা পাচারের ঘটনার সঙ্গে রাজনীতি জড়িয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন চাপে পড়ে গত সপ্তাহে তাঁর দপ্তরের এক কর্তব্যরত আইএএস অফিসারকে অপসারণ করেন।
কেরল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা রমেশ চেন্নিথলা এ দিন অভিযোগ তোলেন, রাজ্য পুলিশের যোজসাজসেই লকডাউনের মধ্যে বেঙ্গালুরুতে পালিয়ে গিয়েছিলেন স্বপ্না ও সন্দীপ। এর আগেও কূটনৈতিক যোগাযোগের অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল স্বপ্নার বিরুদ্ধে। তবুও কেন তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের কাজে বহাল করা হয়, সে প্রশ্নও তোলেন চেন্নিথলা। আনন্দ বাজার
নিউজটি শেয়ার করুন