আব্দুম মুনিব, কুষ্টিয়া:
কুষ্টিয়ার সর্ববৃহৎ আলামপুর পশু হাট জমে উঠলেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। শনিবার সদর উপজেলার আলামপুরর বালিয়াপাড়া মাঠে কোন সামাজিক দুরুত্ব না মেনে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটেছিল এই পশুহাটে। জেলায় করোনার ভয়াবহ সংক্রামের মধ্যে বসেছিল এই হাট। শুধুমাত্র সদর উপজেলায় গড়ে প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে ৩০ জন।
সাপ্তাহিক এই পশুহাটে স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব দূরের কথা কারো মুখে ছিল না মাস্ক। এমন পরিস্থিতিতে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটিয়ে হাটের আয়োজন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। তাদের দাবি, হাটে অন্তত পক্ষে প্রশাসনের নজরদারি থাকা দরকার ছিল। কুষ্টিয়া অঞ্চলের পশু বিগত বছরগুরিতে দেশে চাহিদা মেটাতে বড় ভুমিকা রেখে আসছে। কোরবানির ঈদের আগে এখানকার হাট-বাজার থেকে ব্যাপারীরা গরু কিনে ঢাকা-চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যায়। অন্যবারের থেকে এবার সেই সংখ্যা তুলনামুলক কম। জেলায় বড় পশুর হাট রয়েছে ১২টি। এসব হাট ছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলে আরো ছোট ছোট হাট-বাজারে বিক্রির জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার গরু-ছাগল নিয়ে আসছে খামারিরা।
জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কৃষকরা কয়েক হাজার গরু নিয়ে হাটে আসলেও কেনাবেচা কম। ক্রেতা না থাকায়, দালাল ও ফরিয়াদের কাছে অনেক কম দামে গরু বিক্রি করতে হয়েছে খামারিদের। করোনা মহামারিতে গরুর দাম না পেয়ে দিশেহারা কৃষকরা মোটা অংকের লোকসানের আশংকা করছেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, হাটে অনেক মানুষের সমাগম ঘটেছিল। এতো মানুষের ভিড়ে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে নামানো কঠিন। তবে চেষ্টা করা হয়েছে, প্রশাসনের নজরদারি ছিল।
এপিএস/১৩জুলাই/পিটিআই/আব্দুম মুনিব/কুষ্টিয়া