অবশেষে ৮৬ বছর পর এই বিখ্যাত মসজিদের আযান শুনলো তুর্কিবাসী
দেড় হাজার বছরের পুরানো হায়া সোফিয়ায়কে মসজিদে রুপান্তরের আদেশে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান। এর আগে তুরস্কের আদালত ঐতিহাসিক স্থাপনাটিকে জাদুঘরে রাখার বিষয়ে নাকচ করে দেয়ার পরই এক আদেশে স্বাক্ষর করেন এরদোয়ান। এর আগে জাদুঘরটিকে মসজিদে রুপান্তর না করতে সতর্ক করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।
অপরুপ সৌন্দর্যের স্থাপত্য তুরস্কের হায়া সোফিয়া। বসফরাস প্রণালীর পশ্চিম পাড়ে ইস্তাম্বুলে গম্বুজশোভিত এই বিশাল ঐতিহাসিক ভবনটি খুব সহজেই দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে। সম্রাট প্রথম জাস্টিনিয়ানের আদেশে এই হায়া সোফিয়া নির্মাণ শুরু হয় ৫৩২ খ্রীষ্টাব্দে। ইস্তাম্বুল শহরের নাম তখন ছিল কনস্টান্টিনোপল, যা ছিল বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী।
প্রায় এক হাজার বছর ধরে এটিই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গির্জা। পরে ১৪৫৩ সালে সুলতান মেহমেত খানের ওসমানী সাম্রাজ্যের দখলে চলে গেলে কনস্টান্টিনোপল হয়ে যায় ইস্তাম্বুল। সেসময় একে রুপান্তর করা হয় মসজিদে। আধুনিক তুরস্কে ১৯৩৪-এ এই হায়া সোফিয়াকে পরিণত করা হয় জাদুঘরে।
কিন্তু ঐতিহাসিক এই স্থাপনাটিকে আবারো মসজিদে রুপ দিতে নড়েচড়ে বসে তুর্কি সরকার। তবে খ্রিস্টান ও মুসলমানদের মাঝে এ নিয়ে দেখা দেয় বিপত্তি। সবশেষে গড়ায় আদালতে। এরই মধ্যে জাদুঘরটিকে মসজিদে রুপান্তরে শুক্রবার চূড়ান্ত রায় দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
আদালতের এমন সিদ্ধান্তের পরপরই হায়া সোফিয়া স্থাপত্যকে মসজিদে পরিণত করতে ঘোষণা দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এক নির্বাহী আদেশও স্বাক্ষর করেন তিনি। তার এ আদেশের মাধ্যমে ৮৬ বছর পর হায়া সোফিয়ায় আযান শুনতে পেলো তুর্কিবাসী। এরদোয়ান বলেন, সত্যি আমি খুবই আনন্দিত। যখন শুনলাম হায়া সোফিয়াতে আবারও মুসলমান নামাজ আদায় করতে পারবেন।
ইউনেস্কো-ঘোষিত বিশ্বের ঐতিহ্য স্থানটিকে মসজিদে পরিণত না করতে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল রাশিয়াসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ।
©সময় টিভি