এপিএস আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
আমেরিকায় অভিবাসন আইন ঢেলে সাজা হচ্ছে। তাতে মার্কিন মুলুকে অন্য দেশের নাগরিকদের অভিবাসন দেওয়ার ক্ষেত্রে মেধা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। একটি মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই আশ্বাস দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতেও জানিয়েছে, নতুন অভিবাসন ব্যবস্থা চালুর জন্য প্রশাসনিক নির্দেশ জারির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল ‘টেলিমুন্ডো’য় এক সাক্ষাৎকারে শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘‘এটা একটা খুব বড় বিল আসতে চলেছে। বিলটা খুব ভাল হতে চলেছে। এই বিলে আমেরিকায় অভিবাসনের অধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মেধা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। যে শিশুরা আমেরিকায় এসেছে অন্যান্য দেশ থেকে তারাও যাতে পরে মার্কিন নাগরিকত্বের অধিকার পায় (‘ডেফার্ড অ্যাকশন চাইল্ডহুড অ্যারাইভাল’ বা ডিএসিএ), এই বিলে তারও ব্যবস্থা রাখা হবে। আমি মনে করি, এই বিল সকলকেই খুশি করবে।’’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, বিলটি আনার জন্য প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
পরে হোয়াইট হাউসের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘প্রেসিডেন্ট আজ যা ঘোষণা করেছেন, সেই মতো কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। উনি (ট্রাম্প) এই ব্যাপারে প্রশাসনিক নির্দেশ জারির প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন। মার্কিন নাগরিকদের স্বার্থ রক্ষা করেই এ বার অভিবাসনের অধিকার দেওয়া হবে মেধা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে।’’
হোয়াইট হাউসের তরফে এও জানানো হয়েছে, ডিএসিএ-কেও নতুন অভিবাসন বিলে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তিনি কংগ্রেসের প্রয়োজনীয় অনুমোদন আদায়ের চেষ্টা করছেন। তাতে সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি অভিবাসনকেও মেধা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতাভিত্তিক করে তোলা সম্ভব হবে।
ট্রাম্প অবশ্য গত কালই তাঁর সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেন, ডিএসিএ-কে নতুন বিলে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি ডেমোক্র্যাটদের জন্যই ঝুলে রয়েছে।
‘‘আগে এ ব্যাপারে তাঁদের (ডেমোক্র্যাট) সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু পরে ওঁরাই সেই চুক্তি থেকে সরে আসেন’’, বলছেন ট্রাম্প। আনন্দ বাজার
নিউজটি শেয়ার করুন