তালহা জাহিদঃ বরিশালের বানারীপাড়ায় সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের আউয়ার গ্রামে আয়শা (১২) নামের এক ৭ম শ্রেণীর মাদ্রাসা ছাত্রীকে হত্যা করে শরীরে পাথর,ইট ও বালতি বেধে খালে ডুবিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানাগেছে, মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে আউয়ার বাজার সংলগ্ন দুলাল লাহারীর মেয়ে ও স্থানীয় আউয়ার ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী আয়শা (১২) রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। তাকে খুঁজে পেতে স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে। তার সন্ধানে এলাকায় মাইকিং করা সহসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবি দিয়ে নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়।এতেও তার কোন সন্ধান মেলেনি।
ওই ছাত্রীর বাড়ির পার্শ্ববর্তী আবুল মৃধার ধানের খৈলানে সিদ্দিক মীরার ঘরের পাশে বুধবার সকালে আয়শার একটি জুতা খুঁজে পায় তারস্বজনেরা।ওই জুতার সূত্র ধরেই স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম কাজল সহ অন্যরা সিদ্দিক,তার ছেলে সাব্বির (২০),সাইদ(১৪) ও স্ত্রী হনুফা বেগমকে সৈয়দকাঠি ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা আয়শাকে মেরে লাশ বাড়িসংলগ্ন খালে ডুবিয়ে দিয়েছে বলে স্বীকার করে।
খবর পেয়ে বানারীপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই চারজনকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের দেখানো স্থানে খালে বানারীপাড়া ও বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল দিনভর তল্লাশি চালিয়ে বিকালসাড়ে ৫ টার দিকে লাশ উদ্ধার করে।এসময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
বরিশাল জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বাকেরগঞ্জ সার্কেল) আনোয়ার সাঈদ,বানারীপাড়ার থানার ওসি শিশির কুমার পাল,ইন্সপেক্টর (তদন্ত) জাফরআহম্মেদ,লবণসাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর মো. মহসিন প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার ওসি শিশির কুমার পাল জানান গ্রেফতারকৃতরা ওই ছাত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করলেও কেন হত্যা করেছে তা জানতেজিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।
ওই ছাত্রীর লাশ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো ও এ ব্যপারে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।এ দিকে স্থানীয়দের ধারণা ধর্ষণের পরে ওই ছাত্রীকে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা করা হয়েছিলো।