জিয়াউল,(রাজশাহী ব্যুরো): বিয়ের প্রলোভোন দেখিয়ে ১৪বছর যাবৎ জনৈক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ রাজশাহীর পবা উপজেলার এক চেয়ারম্যান’ বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত চেয়ারম্যান কামরুল হাসান (রাজ) পবার দর্শনপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান,পবা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ইয়াসিন আলীর পুত্র ও বর্তমান আওয়ামীলীগ দলীয় ইউপি সভাপতি।গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন কর্নহার থানায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ রুমানা খাতুন (৩০) বিচার চেয়ে একটি লিখিতি অভিযোগ করেছেন বলে থানার নথিতে দেখাগেছে।
অভিযোগে ভুক্তভোগী গৃহবধূ রুমানা খাতুন জানান বিয়ের বিষয়ে চেয়ারম্যেনের কাছে ইউপিতে গেলে তার কু-কৃর্তী সকলে জেনে যাবে তাই তিনি নিজেকে আড়াল করতে গ্রাম পুলিশ দিয়ে তাকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মারতে মারতে তাড়িয়ে দেন। পরে কর্ণহার থানায় লিখিত অভিযোগ করলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ভিকটিমকে রিসিভ কপি না দিয়ে কাছেই রেখে দেন বলে ভুক্তভোগী গৃহবধূ রুমানা খাতুন দু:খ ভরে জানান।
কর্ণহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার আলী তুহিন বলেন: গৃহবধূ রুমানা (৩০) বাদী হয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে,ইতিপূর্বে চেয়ারম্যান কামরুল হাসান রাজের বিরুদ্ধে মাতৃত্বকালীন ভাতা দেয়ার নামে মায়েদের কুপ্রস্তাব দেয়া সহ মাতৃত্ব কালীন ভাতা প্রস্তুতে অনিয়ম ও বৈষম্য করণের অভিযোগ উঠেছিল। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ত্রাণ না পাওয়া অসহায় মানুষের দুরবস্থা সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরার অপরাধে তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বোরহানুল ইসলাম মিলনকে মারধর করে উল্টো মিলনকেইপুলিশের হাতে তুলে দেয়ার রেকর্ড আছে।