জি. এম. শিমুল, রাঙ্গাবালী প্রতিনিধি: বিগত কয়েক বছর পর্যন্ত (প্রায় ১০ বছরের বেশি) চলাচলে দুর্ভোগে আছে রাঙ্গাবালী উপজেলা আওতাধীন চরমোন্তাজ ইউনিয়নবাসী। চরমোন্তাজ এর লঞ্চঘাট থেকে চরমোন্তাজ ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত সড়ক চলাচলের অতন্ত ভগ্নদশা ও বেহালগতি যে একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে বিগত কয়েক বছর যাবত। ব্যপারটি নিয়ে বিভিন্ন মহলে বেশ কয়েকবার কথা তুললেও কর্নপাতহীন! কেউ আমলে নিচ্ছে না এ ব্যাপারটি মনে হয় এযেন চরমোন্তাজবাসীর জন্ম জন্মান্তরের পাপের ফল।
প্রতিদিন ভুগতে হচ্ছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, গাড়িচালকসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের। ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করা ছাড়া উপায় নেই কারও। একাধিকবার মারাক্তক দুর্ঘটনারও সম্মুখীন হয়েছে গাড়িচালক সহ যাত্রীরা।
এ ব্যপারে চরমোন্তাজ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মিয়া’ এর নিকট আবেদন করা হলেও, তার কোনো সারা পাওয়া যায়নি বলে দাবি সর্বসাধারণের। বরং এব্যপারে তিনি বলেন, হ্যা..! সত্যি! রাস্তাটি চলাচলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেক বেড়েছে। আমিও চাই আমাদের এলাকার মানুষের শান্তি, কিন্তু বরাদ্দ না হলে সংস্করণ করবো কেমনে?
ওদিকে দিন দিন ভোগান্তির চরমে পৌছে যাচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী। কিন্তু কোনো সমাধান মিলছে না। এই রাস্তাটি চরমোন্তাজ যাওয়া আসার মূল সড়ক বলে জানান এলাকাবাসী।
শিক্ষার্থীদের স্কুলে আশা যাওয়ায় নানা রকম সমস্যা হয়, গাড়িতে যেতে চাইলে ভাড়া বেশি দিতে হয় এবং কোনো অটো(ব্যটারি চালিত) এ রাস্তায় যেতে ইচ্ছুক হয় না।
এছাড়াও জরুরি অবস্থায় কোন রোগী সঠিক সময় হাসপাতালে নিতে অসম্ভব ধরনের বেগ পেতে হয় জনসাধারনের। এমন আজাব থেকে মুক্তি চায় এলাকাবাসী, তাদের প্রানের দাবি এমন দুর্বস্থার কথা ভেবে অচিরেই যেন চলাচলে কষ্ট লাগবের পদক্ষেপ গ্রহণ করেন সংশ্লিষ্টজন।