নিজস্ব প্রতিবেদকঃ টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের ১৪টি জেলা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। জেলাগুলো হলো- কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুর।
শনিবার (৪ জুলাই) এ তথ্য জানায় বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আরো জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। অপরদিকে রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। ১০১ পর্যবেক্ষণাধীন পানি স্টেশনের মধ্যে ১৭টিতে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর ৬১টি স্টেশনের পানি বাড়ছে, কমছে ৩৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে একটির। ধরলার কুড়িগ্রাম পয়েন্টে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে ১৮, ঘাঘটের গাইবান্ধা পয়েন্টে ২৭, ব্রহ্মপুত্রের নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৪, ব্রহ্মপুত্রের চিলমারী পয়েন্টে ২৯, যমুনার ফুলছড়ি পয়েন্টে ৫৬, বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে ৫৯, সারিয়াকান্দি পয়েন্টে ৫১, কাজিপুর পয়েন্টে ৫৫, সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৩৫, আরিচা পয়েন্টে ১০, বাঘাবাড়ির আত্রাই পয়েন্টে ৪৯, ধলেশ্বরীর এলাসিন পয়েন্টে ৪৬, পদ্মার গোয়ালন্দ পয়েন্টে ৪৬, ভাগ্যকূল পয়েন্টে ২০, মাওয়া পয়েন্টে ১১ এবং পুরোনো সুরমার দিরাই পয়েন্টে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদনদীর পানি কমছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আবার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানি কমছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি কমতে পারে। অপরদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটসহ উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কোথাও কোথাও অবনতি হয়েছে।