রাকিবুল ইসলাম তনু পটুয়াখালী প্রতিনিধি, পটুয়াখালীতে করোনা আক্রান্ত হবার পরও ব্যাক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখায় করোনা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে।
গতকাল(শুক্রবার) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাংবাদিকদের তোপেরমুখে চেম্বার বন্ধ করতে বাধ্য হন তিনি। পরে আজ শনিবার উপজেলা প্রশাসন নোভা ডায়াগনষ্টিক সেন্টার নামে ঐ প্রতিষ্ঠানটি অর্নিদ্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন ঘোষনা করে বন্ধ করে দেয়।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সুত্র জানায়, শুক্রবার সকালে তার করোনা টেষ্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাৎক্ষনিক জেলা সিভিল সার্জন তাকে ফোন করে বিষয়টি অবিহিত করেন এবং তাকে আইসলোশেনে যেতে বলেন। কিন্তু তিনি বিষয়টি কোন গুরত্ব না দিয়ে প্রতিদিনের মতো বিকেল চারটা থেকে পটুয়াখালী ব্যামাগার মোড়ে অবস্থিত তার মালিকানাধীন নোভা ডাইগোন্সিটক সেন্টারে রোগী দেখা শুরু করেন। এ খবর সাধারন রোগীরা জানতে পেরে অন্য ডাক্তার দেখানোর জন্য যেকে চাইলে তাদের বাঁধা প্রদান করেন তার সহকর্মীরা। পরে রোগীর স্বজনরা সাংবাদিকদের বিষয়টি জানালে রাত সাড়ে ৮টায় সাংবাদিকরা তার চেম্বারে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সংবাদ করতে বলেন। তার কারনে যদি কোন রোগীর ক্ষতি হয় তাহলে তিনি তার দায় দায়িত্ব নিবেন বলে দাবী করেন।
বিষয়টা অনৈতিক এবং আইনের লংঘন কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে অভিযুক্ত ডাক্তার সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্য মুলক আচরণ করেন। পরে স্থানীয় জনগন ও শতাধীক রোগীর স্বজনদের তোপের মুখে চেম্বার ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। যারা বিকেল থেকে চেম্বারে গিয়ে তার সংষ্পর্ষে এসেছেন এমন একাধীক রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান তারা এখন করোনা আতকেংর মধ্যে রয়েছেন। যে ডাক্তার নিজে করোনা আক্রান্ত সে কিভাবে শুধুমাত্র টাকার লোভে রোগীদের এমন বিপদে ফেলতে পারে। তারা ডাক্তার মাহমুদের শাস্তি দাবী করেন।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা কমিউনিস্ট পার্টি সভাপতি ও সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য মোঃ মোতালেব মোল্লা জানান , একজন সচেতন মানুষ হয়ে এটি তার করা কোন ভাবেই ঠিক হয় নাই। একটি মেডিকেল কলেজেরে একজন সাবেক অধ্যক্ষ হয়ে তিনি এ কাজ করতে পারেন না। তার বিরদ্ধে সরকরি ভাবে ব্যাবস্থা নেয়ার দাবী জানান তিনি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (শিপন), জানান,করোনা রিপোর্ট পজেটিভ হওয়ার পর তিনি নিজে তাঁকে ফোন করে বিষয়টি অবহিত করেছেন এবং আইশোলেশনে থাকতে বলেছেন। কিন্তু তিনি তা না করে যা করেছেন তাতে সকল ডাক্তার মহলের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, এবং নোভা ডায়গনষ্টিক সেন্টারটি অর্নিদ্দিষ্ট কালের জন্য লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। জেলায় ৪ জুলাই পর্যন্ত পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫৮ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২২ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৯৩ জন