নিজেস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষেই হতাহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় টিএসসিতে ছাত্রদলের এক নেতার অবস্থান করাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের পর থেকে উভয় পক্ষ নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে তাদের দলের সদস্যদের আহতের দাবি করছে। উভয় পক্ষেই তিনজন করে মোট ছয়জন আহত হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করেছে ছাত্র সংগঠন দুটি।
জানা যায়, বুধবার রাতে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহফুজ চৌধুরী ও তার বান্ধবী একটি প্রাইভেটকারে করে টিএসসিতে আসেন। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের জসিমউদ্দীন হল সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ইমাম হাসান তাকে সেখানে বসতে নিষেধ করেন। এবং সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, কয়েকদিন ধরে টিএসসিতে বিকেল বেলায় অনেক মানুষ জড়ো হয়। করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম এখানে আড্ডা না দিয়ে বাসায় চলে যেতে অনুরোধ জানিয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে রাজধানীর অসহায় মানুষদের রান্না করে খাবার খাওয়ানোর জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের টিএসসিতে থাকতে হয়। তাই প্রতিদিনের ন্যায় গতকালও স্বেচ্ছাসেবীরা টিএসসিতে জড়ো হয়। এ সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে ছাত্রলীগের তিনজন আহত হয়েছেন।
তবে ছাত্রদলের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহফুজ চৌধুরী সন্ধ্যায় টিএসসিতে গেলে ছাত্রলীগের কর্মীরা বিনা উস্কানিতে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে মাহফুজ, তার বান্ধবী ও ছাত্রদল নেত্রী মানছুরা আক্তার আহত হয়।
সংঘর্ষের পর দুই পক্ষই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। সেখানে চিকিৎসা নিতে গিয়েও দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।