এপিএস আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
গালওয়ান নিয়ে আলোচনার মধ্যেও সঙ্ঘাত পরিস্থিতি সীমান্তে। সেখানে ফের শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে চিন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর নতুন করে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছে তারা। তিব্বত এবং শিনজিয়াং প্রদেশেও অতিরিক্ত ১০ হাজার বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে নিয়মিত মহড়া দিচ্ছে চলছে। সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে দু’দেশের বৈঠকের মধ্যেই বুধবার দিল্লি সূত্রে এমন তথ্য সামনে এল। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে আগ্রহী হলেও, সীমান্তে চিনা বাহিনীর গতিবিধির উপর ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
এ দিন সরকারি একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম জানায়, সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় সব মিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার বাহিনী মোতায়েন করেছে চিন। এ ছাড়াও উত্তর শিনজিয়াং প্রদেশে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করে রেখেছে। এমন জায়গায় ওই বাহিনী মোতায়েন রয়েছে, যেখান থেকে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারতের মোকাবিলায় নামানো যাবে তাদের।
তবে চিনকে উপযুক্ত জবাব দিতে ভারতের তরফে প্রস্তুতিতে খামতি নেই বলে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, পূর্ব লাদাখে ভারতও অতিরিক্ত পদাতিক সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। দীর্ঘ সময় সেখানে থাকতে হতে পারে, তার জন্য প্রয়োজনীয় জামাকাপড় এবং সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে তাঁদের। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনকে জবাব দিতে অতিরিক্ত ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া বাহিনীও লাদাখে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গালওয়ান উপত্যকা এবং পেট্রলিং পয়েন্ট ১৫-তে চিনা বাহিনীর মুখোমুখি রাখা হয়েছে তাদের।
এ ছাড়াও, প্যাংগং হ্রদ এবং ফিঙ্গার এলাকাগুলিতে ভারতের তরফে প্রচুর সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আনন্দ বাজার