জিয়াউল, আনোয়ার রাজশাহী ব্যুরো:বিদ্যুৎ না থাকলে যেন রোগীদের কোন সমস্যা না হয় সেজন্য জেনারেটরের ব্যবস্থা রয়েছে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিন্তুু এর সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগীরা।
হাসপাতলে সঠিক ভাবে জেনারেটরের ব্যবহার না করায় ভোগান্তির শিকারও হচ্ছে রোগীরা। এতে ভেঙ্গে পড়ছে চিকিৎসার মান। তাছাড়া সরকারের লক্ষাধিক টাকা দামের জেনারেটর পড়ে থেকে হচ্ছে নষ্ট। কোন কাজেই ব্যবহার হচ্ছে না এটি। এমনটিই অভিযোগ তুলেছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা।
হাসপাতালটি সম্পূর্ণ ঘুরে দেখা যায় ছোট ও বড় দুইটি জেনারেটর রয়েছে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধির জন্য জেনারেটর বরাদ্দ রয়েছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার কাজে নিয়মিত জেনারেটর চালানো হয়। কিন্তু সরজমিনে হাসপাতাল ঘুরে তার উল্টো চিত্র দেখা যায়। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে প্রায় শতাধিক রোগী বিদ্যুৎ এর জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকেন। তারপরেও বিদ্যুৎ এর জন্য চিকিৎসা সেবা পাইনি ভুক্তভোগীরা। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের গুনতে হয় বিদ্যুৎ এর জন্য অপেক্ষার প্রহর। চিকিৎসা নিতে আসা এসব রোগির বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা লিখে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে জেনারেটর থাকলেও তার ব্যবহার না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ছে রোগীরা এমন অভিযোগ রোগীদের।
এছাড়া দেখা যায়, বিদ্যুৎ এর কারনে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে চিকিৎসকেরা বসে আছেন। এমনকি বন্ধ করে চলে গেছেন হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত সংশ্লিষ্টরা। হাসপাতালের কয়েক লক্ষ টাকা দামের জেনারেটর পড়ে আছে কিন্তু কোন কাজেই আসছে না এটি। কিন্তু সরকারের বরাদ্দকৃত জেনারেটরের ব্যয় বন্ধ নেই প্রতিনিয়ত হাসপাতালের ব্যয় রেজিস্টারে তেলের মেমো জমা হচ্ছে।
তবে জেনারেটরের সেবা রোগিরা না পেলেও হাসপাতালের কর্তাদের পকেটের সেবা দিয়ে যাচ্ছে জেনারেটর।হাসপাতালে ভর্তি রোগী রাকিবুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার শারীরিক সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই। তারপরে ডাক্তার চিকিৎসনা দিতে আসলে আমাকে পরীক্ষা দেন। ওই পরীক্ষার দ্রুত করে ডাক্তারকে দেখাতে বলেন। কিন্তু হাসপাতালের প্যাথলজিতে গেলে বিদ্যুৎ না থাকায় অপেক্ষা করতে হয়। যার ফলে সঠিক সময় ডাক্তার চিকিৎসা দিতে পারলেন না। আমাকে আবার ডাক্তারের জন্য অপেক্ষা করতে হলো। কিন্তু আমি অনেক বার হাসপাতালের জেনারেটর চালু করতে বললেও কোন লাভ হয়নি।
চিকিৎসনা নিতে আসা উপজেলার সাবাজপুরের কামরুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে চিকিৎসার চেয়ে দূর্নীতি বেশি। আমি শুনেছি সরকারি হাসপাতালে জেনারেটর আছে। কিন্তু কোন সেবা নেই। আমার পরীক্ষার জন্য গেলে বিদ্যুৎ নেই বলে ফিরিয়ে দেন। আমি সেই পরীক্ষা উপজেলার বাহিরের একটি ক্লিনিক থেকে করে নিলাম। মহিলা ওয়ার্ডে রোগি সাথী আক্তার জানান, দুই দিন থেকে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। দিনে রাতে মিলে বেশ ভালই বিদ্যুৎ টানে। কোন সময় জেনারেটর চালাতে দেখিনি। তবে রাতের বেলা হাসপাতালে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ টেনে থাকে। ওই সময় যেমন মশার কামড় তেমনি গরমে অস্থির হয়ে পড়তে হয়। অনেক সময় খাবার না খেয়ে ঘুমিয়ে যেতে হয়।
দূর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আসাদুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে নিয়মিত জেনারেটর চলে। তবে আমি রাতে হাসপাতালে থাকিনা যার ফলে আমি রাতের বিষয়টি সঠিক বলতে পারবো না তবে বিষয়টা আমি তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা নেব।