হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ উজান থেকে নেমে আসা ঢল এবং অবিরাম বর্ষনে তিস্তায় আগাম বন্যা দেখা দিয়েছে। পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে কমপক্ষে ১০ হাজার পরিবার । পানিবন্ধি পরিবারগুলো গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আশ্রয় কেন্দ্র এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।
আজ শনিবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আশরাফুলজ্জামান সরকার, বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্ল্যাহ বেলকা ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়া পরিবারগুলোর মাঝে সহায়তা প্রদান করেছে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, কঞ্চিবাড়ি, শান্তিরাম, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার নদীর বিভিন্ন চরে কমপক্ষে ১০ হাজার পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে।
গত ৭ জুন বিকাল হতে অবিরাম বৃষ্টি এবং উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আগাম বন্যা দেখা দিয়েছে। কাপাসিয়া ইউনিয়নের রফিকুল ইসলাম জানান চরের প্রতিটি বাড়িতে পানি উঠেছে। যে হারে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করে আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যে প্রতিটি বাড়ির ঘরের ভিতরে ১ ফিট হতে দেড় ফিট পর্যন্ত পানি উঠে যাবে। এছাড়া চরের বিভিন্ন প্রকার আবাদি জমি ডুবে গেছে। বেলকা ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্ল্যাহ জানান তাঁর ইউনিয়নের কমপক্ষে ৫০টি পরিবার ২টি প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া কমপক্ষে ৩০টি পরিবার গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে বাঁেধর উপর আশ্রয় নিয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান, গতকাল শনিবার পর্যন্ত ২০ হেক্টর জমির তোষাপাটসহ নানাবিধ ফসলি ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। উপজেলা নিবার্হী অফিসার কাজী লুতফুল হাসান জানান, পানিবন্ধি পরিবারদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেলকা ইউনিয়নে একটি প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেয়া পরিবারদের মাঝে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।