মহামারি করোনাভাইরাস যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৭৪০ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে প্রাণঘাতী ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৫৪ জনে দাঁড়ালো। যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে দেশটির মৃত্যুর সংখ্যার চেয়ে বেশি। খবর এএফপির।
১৯১৪ সাল থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ১ লাখ ১৬ হাজার ৫১৬ সেনার প্রাণহানি ঘটে। গত জানুয়ারির মাঝামাঝি যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণের পর পাঁচ মাসে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সেই প্রাণহানিকে ছাড়িয়ে গেল দেশটি। গত এপ্রিলেই ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রাণহানিকে ছাড়িয়ে যায় করোনা।
যুক্তরাষ্ট্রে আগের দুই দিন করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪০০’র নিচে নামলেও মঙ্গলবার নতুন করে সে সংখ্যা আবার বাড়ল।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুসারে, দেশটিতে মঙ্গলবার একদিনে নতুন করে ২৩ হাজার ৩৫১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২১ লাখ ৩৪ হাজার ছাড়ালো।
বিশ্বের আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় শীর্ষে চলে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সংক্রমণের ঝুঁকি আমলে না নিয়েই এরইমধ্যে অর্থনীতির দোহাই দিয়ে অনেক ব্যবসাবাণিজ্য খুলে দিয়েছে। লকডাউন শিথিল করে দিয়েছে। এর ফলে এখন প্রতিদিনই ২০ হাজারে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে দেশটিতে। মহামারি সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাক্কাও যদি লাগে, তাতেও লকডাউন কঠোর করবেন না বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প।
সমালোচকদের ধারণা, আগামী নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য লড়াই চালাতে যাওয়া ট্রাম্প নিজের বৈতরণী উতরে যেতেই অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতে চেয়ে মানুষ মারছেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ার জেরোমি পাওয়েল সতর্ক করে বলেছেন, করোনা মহামারি অব্যাহত থাকায় এই ‘সুনির্দিষ্ট অনিশ্চয়তা’র কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি কতদিনে পুনরুদ্ধার হবে, তা বলা মুশকিল।