ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় এক তরুণীকে (২৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ কচুক্ষেতে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। আজ বুধবার এক যুবক লাশটি দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। সিআইডি’র ক্রাইমসিনসহ পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল গিয়ে হত্যার রহস্য উৎঘাটনের চেষ্টা ও আলামত সংগ্রহ করেন। ঘটনাটি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার বাকতা শ্রীপুর টানপাড়া গ্রামে।
আজ বুধবার দুপুরে অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মচিমহায় প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা দুর্বৃত্তরা অন্যকোন উপজেলা থেকে তরুণী মেয়েটিকে নিয়ে এসে মঙ্গলবার দিবগত রাতে কোন এক সময় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ কচুক্ষেতে রেখে পালিয়ে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাকতা শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে নির্জণ এক বাঁশ বাগান। আশপাশে ঝোঁপ ঝাঁপড়ায় ভরপুর। বাঁশ বগানের পশ্চিম পাশে প্রায় তিন ফুট উচ্চতার একটি কচুক্ষেতে বীভৎস ও বিবস্ত্র তরুণীর মরদেহ পড়ে রয়েছে। মেয়েটির সাথে থাকা একটি ভেনেটি ব্যাগে গাজিপুরের একটি মার্কেটের কেনাকাটার রশিদ ও একটি কাগজে হাতে লেখা কয়েকটি ফোন নাম্বার পাওয়া যায়। সিআইডি ক্রাইমসিন ইউনিটি তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অজ্ঞাত মেয়েটির পরিচয় শনাক্ত ও হত্যাকাণ্ডের আলমত সংগ্রহ করছে।
পিবিআই ও সিআইডির একাধিক কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, কচুক্ষেত পরে থাকা লাশের কয়েক গজ পূর্বে বাঁশ বাগানে মেয়েটির ওড়না পাওয়া যায়। কয়েজন মিলে মেয়েটিকে এখানে নিয়ে আসছিল। বাঁশ বাগানের ভিতরে প্রথমে মেয়েটিকে ৪ থেকে ৫ জন মিলে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশটি কচুক্ষেতে ফেলে রেখে যায়। হত্যাকাণ্ডটি গভীর রাতে ঘটানো হয়েছে বলেও দাবী করেন তাঁরা।
স্থানীয় জহিরুল ইসলাম বলেন, যেখানে লাশটি পড়ে রয়েছে সেখানে মানুষের আনাগোনা নেই বললেই চলে, সকাল ১০টার দিকে গরু চড়াতে গিয়ে লাশ দেখতে পায় এক যুবক। এ ঘটনায় এলাকার মানুষজন আতঙ্কিত।
ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) মো. আজিজুর রহমান জানান, অন্যকোন উপজেলা থেকে মেয়েটিকে নিয়ে এসে কয়েকজন মিলে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মেয়েটির পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।