গত ০৫ জুন বিডিলনিউজ.কম এ তথাকথিত ব্যরিষ্টার কামরুল ইসলাম হৃদয়ের আসল পরিচয় উন্মোচন হয়। তার আইনজীবী ও ব্যরিষ্টার হবার মিথ্যা গল্প সবাই জানতে পারে।
দীর্ঘদিন ধরে কামরুল ইসলাম হৃদয় ব্যরিষ্টার পরিচয় দিয়ে বিচার প্রার্থীসহ সর্ব-সাধারণের সাথে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিলো। এই বিষয়টিতে সন্দেহ তৈরী হলে সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন আইনজীবী বার কাউন্সিল অব ইংলন্ডে ই-মেইল করেন। জবাবে বার কাউন্সিল অব ইংল্যান্ড জানান যে তাদের ১৯৬০-২০২০ ইং সাল পর্যন্ত কামরুল ইসলাম হৃদয় নামে কোন ব্যারিস্টার তালিকা ভুক্ত নেই। তাই তার ব্যরিষ্টার হবার দাবী মিথ্যা প্রমাণিত হয় । পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলেও তালিকাভুক্ত আইনজীবী নন।
ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভুইয়া জানান,তিনি আইন অঙ্গনে “টাউট, দালাল, দূর্নীতি নির্মূল আন্দোলন”-এ নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এছাড়াও তিনি ০২.০৩.২০২০ টাউট, দালাল, ভুয়া আইনজীবী ও ভুয়া আইনজীবী সহকারী ও মুহুরী প্রভৃতি আদালত থেকে নির্মুল করার জন্য রিট করেন । শুনানি শেষে মাননীয় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও মাননীয় বিচারপতি জনার মো; মোস্তাফিজুর রহমানের দৈত বেঞ্চ একটি রুল নিশি ইস্যু করেন এই মর্মে যে সারাদেশের প্রতিটি আদালত অঙ্গন ও আইনজীবী সমিতি থেকে থেকে টাউট, দালাল, ভুয়া আইনজীবী, ভুয়া আইনজীবীর সহকারী ও মুহুরী সহ সকল প্রতারকে উচ্ছেদ ও নির্মুল করা হবে।
এছাড়াও আগামী ৬০ দিনের মধ্যে দেশের সকল আইন অঙ্গন হতে এবং আইনজীবী সমিতি থেকে টাউট,দালাল ভূয়া আইনজীবী, ভুয়া আইনজীবী সহকারী/মুহুরীসহ প্রতারকে উচ্ছেদ করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিবাদীর প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন।
কামরুল ইসলাম হৃদয়ের নানা কর্মকান্ডে আইনজীবীদের মনে সন্দেহ তৈরী হয় যে তিনি ব্যারিস্টার ও আইনজীবী নন। তাই আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রয়োজনীয় অনুসদ্ধান চালান তারা। অনুসন্ধানে যে সকল তথ্য পাওয়া যায় তাতে কামরুল ইসলাম হৃদয়ের প্রতারণার বিষয়টি স্পষ্ট হয়।
গত ০৫ জুন ২০২০ ইং অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডিলনিউজ-এ ভুয়া ব্যারিষ্টার সনাক্ত
শিরোনামে একটি সংবাদ বের হয় যেখানে কামরুল ইসলাম হৃদয়কে ভুয়া আইনজীবী ও ভুয়া ব্যরিষ্টার হিসেবে তুলে ধরা হয়। মূলত এই সংবাদ প্রকাশ হবার পর ক্ষেপে যান ব্যরিষ্টার নামধারী কামরুল ইসলাম হৃদয়।
উক্ত সংবাদটি প্রকাশ হবার পর ০৬ জুন ২০২০ রাত ১০:৩৯-এ কামরুর ইসলাম হৃদয়; ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভুইয়ার ইমো নাম্বারে নানা আক্রমণামত্মক কথা বলে ও হুমকি দেয়। এছাড়াও কাল্পনিক দোষারোপ করে অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভুইয়ার সম্মান নষ্ট করার হুমকিও দেন। এ সংক্রান্ত স্কিনশর্টগুলো আমরা সংগ্রহ করতে পেরেছি।
আইনজীবী সমিতির সম্মানিত সভাপতি এএম আমিন উদ্দিন ও সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল সহ নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য সম্মানিত সদস্যদের এই বিষয়ে অবহিত করেন ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভুইয়া। তারা সকলে সারা দেশের আইন অঙ্গন থেকে টাউট, দালাল, ভুয়া আইনজীবী ও ভুয়া আইনজীবী সহকারী নির্মুল করার বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
উল্লেখিত ভুয়া ব্যারিস্টার কামরুল ইসলাম হৃদয়ের বিরুদ্ধে ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভুইয়া ডিএমপি পুলিশ কমিশনারের মাধ্যমে ই-মেইল যোগে শাহবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২৩,২৪,২৫ ও ২৯ ধারা এবং দন্ডবিধির ৪৯৯ ও ৫০৬ ধারায় অভিযোগ এনে এজাহার দায়ের করেন।
এপিএস/৮জুন/পিটিআই/এনএস