কিছু দিন আগে গাছ থেকে পরে গিয়ে পঙ্গু হয়েছে হোসেন (ছাত্র ডিপলোমা কোর্স) । এখন চলাচল করতে পারে না। হুইল চেয়ারে বসে থাকতে হয় সব সময়। হোসেনের বন্ধু সোহেল (আইন বিভাগ ২০১৬-১৭ সেশন , ইবি, কুষ্টিয়া) হোসেনের এই বিষয়টি এপিএস নিউজ-এর সামনে আনে।
সোহেলের বর্ণনায় “কল্পনাও করতে পারি নাই যে হোসেনের অবস্থা এতটা খারাপ হয়েছে। আজ দেখে হতভম্ব্য হয়ে গিয়েছি হাস্যউজ্জ্বল ছেলেট দীর্ঘদিন হুইল চেয়ারে বসে আছে । একটা পার্ট অকেজো হয়ে রয়েছে, হাত, ঘাড় নারাতে পারে না। যখন হোসেন বলছিল বন্ধু, “এই বেল্ট না পরলে আমি বসতেও পারি না, পরে যাই “! তখন নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে পারছিলাম না। একটি দুর্ঘটনা ফুলের মত ছেলের জীবনকে ওলটপালট করে দিবে কেউ ভাবতে পারেনি। ও বেঁচে থেকে যে কষ্ট করছে মারা গেলে হয়তো এতো কষ্ট হত না!!! শারীরিক যন্ত্রণা, প্রতিদিন ঔষধ, প্রতিদিনের খাবার এগুলো ওর শরীরটা দুর্বিসহ করে তুলেছে।
বাবা কৃষক। অনেক স্বপ্ন নিয়ে তার লেখাপড়ার খরচ জোগাচ্ছে। বড় ভাই কোম্পানীতে চাকুরী করতো বর্তমানে হোসেনের এই অবস্থার পর চাকরি ছেড়ে দিয়ে ওর চিকিৎসার জন্য ওর সাথে রয়েছে। ইতোমধ্যে তার চিকিৎসার জন্য বেশ খরচ হয়েছে। বৃদ্ধ বাবা করোনার মত এই জটিল অবস্থায় ছেলের চিকিৎসা ব্যয় বহন করছেন। হয়ত তিনি তার সাধ্য মত চিকিৎসা করাবেন। কিন্তু তার সুস্থতার জন্য সবার সহযোগিতা দরকার। সবার প্রচেষ্টা তাকে আবার সুস্থ জীবনে নিয়ে আসবে।
হোসেনের পরিবার হোসেনের সুস্থতার জন্য সবার কাছে থেকে দোয়া চেয়েছেন। পাশাপাশি যদি মহৎপ্রাণ ব্যাক্তিগণ তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন তাহলে হোসেন আবার সুস্থ জীবনে ফিরে আসবেন বলে তাদের বিশ্বাস।
আপনারা হোসেনের পাশে দাড়ান। হোসেন মোল্যা! বাড়ি গুপিনাথপুর, শ্রীপুর, মাগুরা।
#হোসেন মোল্যা Bkash ( Personal) : 01836071714
#সোহেল রানা Bkash( personal) : 01935161392