দীর্ঘদিন ধরে কামরুল ইসলাম হৃদয় নামধারী একজন ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার নামের সঙ্গে ‘ব্যারিস্টার’ ও নিজেকে ‘আইনজীবী’ হিসেবে পরিচয়ে অনলাইন বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহন করে আসছেন।
তার বিভিন্ন কার্যক্রম দেখে অনেক আইনজীবী তার আইনজীবী সনদ আছে কিনা এবং সে আদৌ ব্যারিস্টার কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ করেন। তিনি আইনজীবী কি না তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, না আমি বাংলাদেশে আইনজীবী নই আমি যুক্তরাজ্য সুপ্রিম কোর্টে আপিল ব্যারিস্টার হিসেবে প্র্যাকটিস করি।
ব্যারিস্টার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (BAB) এর ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ হামিদ চৌধুরীকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, কামরুল ইসলাম হৃদয় ব্যারিস্টার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য পদের জন্য আবেদন করেছিলেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে যথাযথ সার্টিফিকেট ও প্রমাণক সহ আবেদন করার কথা বলা হয় কিন্তু সে আজ পর্যন্ত কোন প্রমাণক দাখিল করেনি।
কামরুল ইসলাম হৃদয় ব্যারিস্টার কিনা সেটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ইউকে বার কাউন্সিল এবং লিংকনস ইনে ইমেইল করা হয়। ইমেইল এর জবাবে ইউকে বার কাউন্সিলের রেকর্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট এলেক্স পেইন্টার নিশ্চিত করেন, ১৯৬০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কামরুল ইসলাম হৃদয় নামে কোন ব্যারিস্টার ইউকে বার কাউন্সিলের রেকর্ডে নেই এবং ব্যারিস্টার না হয়ে নামের সাথে ব্যারিস্টার নাম সংযুক্ত করা একটি অপরাধ।
ব্যারিষ্টার অনিক আর আর হক গণমাধ্যমকেকে বলেন, কামরুল ইসলাম হৃদয় সম্পূর্ণরূপে একজন প্রতারক, এসব প্রতারক কে চিহ্নিত করা না গেলে আমাদের আইন পেশার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, এদের কারণে আইন পেশার মান নষ্ট হচ্ছে। উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
টাউট দালাল নির্মূল আন্দোলনের আহ্বায়ক জনাব এডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, অভিযোগের বিষয়ে জানতে কামরুল ইসলাম হৃদয় কে ফোন করেছিলাম, তিনি তার ব্যারিস্টার হওয়ার বিষয়টি নিয়ে সঠিক কোন তথ্য দিতে পারেননি বরং বলেছেন ব্যারিস্টার হওয়ার বিষয় নিয়ে আমি আপনাকে কোন তথ্য দিতে বাধ্য নই একথা বলে কামরুল ইসলাম হৃদয় ফোনটি কেটে কেটে দেন।
bdlawnews এর সেীজন্যে