এপিএস ফরেন ডেস্ক
নিজ ভূখণ্ডে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মাত্রা গোপন করেছে চীন। শুরুর দিকে চীনের কাছ থেকে নভেল করোনাভাইরাস সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) বেশ বেগ পেতে হয়েছিল।
সম্প্রতি সংস্থাটির অভ্যন্তরীণ কয়েকটি বৈঠকের রেকর্ডিং থেকে এসব তথ্য জানা গেছে বলে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে।
জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হওয়া বৈঠকগুলোতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা ভাইরাসের বিস্তৃতি এবং বাকি বিশ্বের জন্য এর ঝুঁকি কতটুকু তা নিরূপণে বেইজিংয়ের কাছ থেকে পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছিলেন।
এ সংক্রান্ত কথোপকথনের একটি রেকর্ডিং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বার্তা সংস্থার হাতে এসেছে। তাতে সংক্রমণের বিস্তার কমাতে চীনের ভূমিকা নিয়ে ডব্লিউএইচও’র কর্মকর্তাদের প্রকাশ্যে করা প্রশংসার সঙ্গে ব্যাপক বৈপরীত্য পাওয়া যায়।
বৈঠকের একটিতে ডব্লিউএইচওর কোভিড-১৯ বিষয়ক কৌশলের নেতৃত্বে থাকা মার্কিন এপিডেমিওলজিস্ট মারিয়া ভ্যান কেরখোভকে বলতে শোনা যায়, আমরা খুবই স্বল্প পরিমাণ তথ্য পাচ্ছি। সঠিক পরিকল্পনার জন্য এটা যথেষ্ট নয়।
অন্য একটি বৈঠকে চীনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা গডেন গ্যালি বলেছেন, আমরা এমন একটি পর্যায়ে আছি, যেখানে চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভিতে কোনো তথ্য যাওয়ার কেবল ১৫ মিনিট আগে আমাদের সেটি জানানো হয়।
২০ জানুয়ারি করোনা সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল চীন। ২২ জানুয়ারি তা ঘোষণাও করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর পর ১১ মার্চ এই ভাইরাসের সংক্রমণকে মহামারী বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের প্রতি অতি বেশি কেন্দ্রীভূত অভিযোগ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও সংস্থাটির কঠোর সমালোচনা করেছেন।
তিনি বলেছিলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর সময় বাজে পরামর্শ দিয়েছে তারা।
গত ১৮ মে হুকে ৩০ দিন সময় দিয়ে বলেছিলেন, এর মধ্যে ‘উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি’ না হলে সদস্যপদ প্রত্যাহারের কথা ভাববে আমেরিকা।
কিন্তু আলটিমেটামের ১২ দিন পরই গত শুক্রবার চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন ট্রাম্প। ঘোষণা করলেন, হুর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে তার দেশ।
কারণ করোনা মহামারী নিয়ে আমেরিকার উদ্বেগ সত্ত্বেও নিজেদের প্রয়োজনীয় সংস্কার করেনি তারা। ট্রাম্প বলেছেন, হুর তহবিলের অর্থ এখন অন্য খাতে ব্যবহার করা হবে। সূত্রঃ যুগান্তর