মেহেরপুর প্রতিনিধি
মিজানুর রহমান: মেহেরপুর জেলার গাংনীতে তালাবদ্ধ ঘর থেকে সুন্দরী খাতুন (৪৮) নামের এক পরিচ্ছন্ন কর্মীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে পাশের কক্ষ থেকে তার স্বামী রুস্তম আলীকে (৫৫) মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বাড়ি গাংনী উপজেলার নতুন মটমুড়া গ্রামে। বর্তমান উপজেলার বামন্দী শহরের একটি ভাড়াবাড়িতে স্বামী-স্ত্রী বসবাস করে আসছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সকাল ১১টার দিকে বামন্দী শহরের সাইদুর রহমান টবুর বাড়ির একটি কক্ষ থেকে তাদের উদ্ধার করে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল। স্থানীয়রা জানান, রুস্তম আলী ও তার স্ত্রী সুন্দরী খাতুন কয়েক বছর যাবত বামন্দী শহরে পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসাবে কাজ করে আসছিল। কর্মের সুবাদে তারা বামন্দী শহরের ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। গত ২৫ মে সকালের দিকে তাদের অনেকে দেখলেও দুপুরের পর থেকে তাদের বাজারে দেখা যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার সকালের দিকে বামন্দী শহরের তাদের ভাড়া করা বাড়ির তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে দূর্গন্ধ পেয়ে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয়।
গাংনী থানা ও স্থানীয় বামন্দী ক্যাম্প পুলিশের দু’টি দল এসে ওই কক্ষ খুলে সুন্দরী খাতুনের গলিত লাশ ও পাশের কক্ষ থেকে তার স্বামীকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে। গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবাইদুর রহমান জানান, স্থানীয় লোকজন ও প্রতিবেশীরা ওই বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে সুন্দরী খাতুন নামের একজনের লাশ ও তার স্বামী রুস্তম আলীকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। কোন সন্ত্রাসী চক্র পরিকল্পিত ভাবে এ হতাহতের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের স্বামী-স্ত্রীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তবে ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশের একাধিক দল মাঠে নেমেছে। সুন্দরী খাতুনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসাপাতালে নেয়া হয়েছে। স্বামী রুস্তম আলীকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেয়া হয়। এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মােস্তাফিজুর রহমান,গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান,তদন্ত ওসি সাজেদুল ইসলাম।
এপিএস/২৮মে/পিটিআই